এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভয়ে কাঁপছে মমতা পুলিশ! মাতৃশক্তির প্রবল গর্জন, থতমত পুলিশ কর্তা!

ভয়ে কাঁপছে মমতা পুলিশ! মাতৃশক্তির প্রবল গর্জন, থতমত পুলিশ কর্তা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিনে সঠিক জায়গায় প্রতিবাদটা করতে পেরেছে বাংলা। সন্দেশখালি যে পথ দেখিয়ে দিয়েছে, তাতে ভয়ে কাঁপছে নবান্ন। থরহরিকম্প শুরু হয়ে গিয়েছে এই সরকারের অন্দর মহলে। যার ফলে পুলিশ প্রশাসন এবার মাতৃশক্তির শরণাপন্ন হয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, আর এভাবে বিক্ষোভ করবেন না, আইন হাতে তুলে নেবেন না। কিন্তু এতদিন যারা আইন ভাঙছিল, তাদেরকে কন্ট্রোল করলেই তো মাতৃশক্তি এই ভাবে রাস্তায় নামত না। তাহলে সেই সময় এই পুলিশ কি করছিল! আজকে মানুষ যখন ক্ষেপে উঠেছে, তখন পুলিশের এই তৎপরতা কেন! আগে থাকতে কেন তারা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি? এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে সন্দেশখালি সহ গোটা বাংলার প্রতিবাদী জনসাধারণ। আজ সন্দেশখালিতে এক পুলিশ আধিকারিকের কীর্তি দেখে সকলে একটাই আলোচনা করছেন যে, এবার পুলিশ ভয় পেয়েছে। এতদিন পুলিশ দিয়ে তৃণমূল নেতারা সবাইকে ভয় দেখাতেন। কিন্তু মানুষের প্রতিবাদ কতটা কঠিন হয়, সমবেত প্রতিবাদের কাছে কিভাবে পুলিশি নির্যাতন ফিকে হয়ে যায়, তার প্রমাণ দিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালি। কিন্তু কি এমন হয়েছে আজ?

প্রসঙ্গত, প্রায় প্রতিদিনই এখন খবরের শিরোনামে উঠে আসছে সন্দেশখালি। গতকালের পর আজকেও তৃণমূলের এক অঞ্চল সদস্যের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানান গ্রামের মহিলারা। যেখানে সেই অঞ্চল সদস্যের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে খবর। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ যে, এই অঞ্চল তৃণমূলের নেতা আদিবাসীদের জমি দখল করেছেন। আর এই জনরোষ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আছড়ে পড়ার পরেই এক পুলিশ আধিকারিক এসে সেই মহিলাদের বলতে থাকেন, “আপনারা কেন আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন? ক্যাম্প বসেছে। আপনারা সেখানে গিয়ে অভিযোগ করুন। কিন্তু রোজ আপনার আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন।”

আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশ আধিকারিক কি তাহলে ভয় পেয়েছেন? তারা বুঝতে পারছেন যে, জনতার এই প্রতিবাদ ভয়াবহ জায়গায় গিয়ে পৌঁছবে! তাই কি এখন এই ধরনের কথা বলে নরমে গরমে ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে সাধারন মানুষকে? তবে সব থেকে বড় কথা যে, এতদিন কোথায় ছিল এই পুলিশ? তাদের কাছে কি এই খবর ছিল না যে, নেতারা মানুষের জমি লুট করছে! তখন যদি তারা পদক্ষেপ নিতেন, তাহলে তো আজকে সাধারণ মানুষ আইন হাতে তুলে নিত না। তাই পুলিশ যখন সময়ের কাজ সময় করেনি, তখন মানুষ আইন হাতে তুলে নিয়েছে জন্যে আজকে মানুষের ওপর এই ধরনের চোটপাট দেখানোর ক্ষমতাও এই পুলিশের নেই।‌

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল নেতার বাড়িতে আজ জনরোষ আছড়ে পড়ার পর পুলিশ আধিকারিকরা যে সমস্ত কথা মা-বোনেদের উদ্দেশ্যে বললেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, তারা প্রচন্ড ভয় পেয়েছে। এই প্রশাসন বুঝতে পারছে যে, আইন শৃঙ্খলা পুরোপুরি হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। আর কোনোমতেই এই সরকারকে বাঁচানো যাবে না। তাই এখন শেষ চেষ্টা করছেন তারা্ মানুষের কাছে, মানুষের বিক্ষোভের কাছে থতমত খেয়ে পুলিশ কর্তারা এখন সব কিছু কন্ট্রোলে আনার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে। তবে এই চেষ্টা তখনই সফল হবে, যখন গ্রেফতার করা হবে শেখ শাহজাহানকে, গ্রেফতার করা হবে অত্যাচারীদের। তা না হলে মানুষের এই প্রতিবাদ প্রতিনিয়ত শুধু সন্দেশখালি নয়, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হবে। তাই যে সমস্ত পুলিশ কর্তারা এখনও পর্যন্ত নিজেদের ট্রান্সফারের ভয়ে এই সরকারের কথামত দলদাসের আচরণ করছেন, তারা সময় থাকতে থাকতেই নিজেদের শুধরে নিন, মেরুদন্ডটা ঠিক করে নিন। তা না হলে এখন তো তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে, আগামী দিন দলদাস পুলিশের বিরুদ্ধে যদি সাধারন মানুষ গর্জে ওঠেন, তাহলে সত্যিই এটা প্রবল লজ্জা হয়ে দাঁড়াবে বাংলার কাছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!