এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বঙ্গে কি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি শাসন? মুখ খুললেন অমিত শাহ

বঙ্গে কি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি শাসন? মুখ খুললেন অমিত শাহ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়ে আসছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিরও দাবি জানানো হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন রাখেন। আর তারপর থেকেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে চলছে তুমুল জল্পনা। অন্যদিকে রাজ্যে দু’দিনের সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন সল্টলেকের পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। আর সেখানেই সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি।

খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে। সে প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন জানিয়েছেন, 356 ধারা জারি করার আগেই বাংলার সরকার পরিবর্তন হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক থাকেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মী হত্যা নিয়েও তিনি কড়া মন্তব্য করেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে অপরাধের পরিমাণ বাড়ছে বলে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যে হয়ে চলা অপরাধের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, এই মুহূর্তে বাংলা হল অপরাধের শীর্ষে। মহিলাদের প্রতি অপরাধ বেড়ে চলেছে বাংলায় ক্রমাগত। আর এই প্রসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতাকালে নারীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের সুরে এদিন স্পষ্ট জানান, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের বিশ্বাস চলে গেছে। অতএব আগামী বিধানসভায় বাংলায় আসছে বিজেপি সরকার। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে বিজেপি সরকার আসলে বর্তমান সরকারের বাতিল করা কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি তখন চালু হবে বলে জানান অমিত শাহ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আয়ুস্মান ভারত, কিষাণনিধি যোজনার মত কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত মানুষজনকে সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর আগেই দুই কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন সাংবাদিকরা অমিত শাহের সামনে বিমল গুরুং থেকে শুরু করে পাহাড়ের রাজনীতি, CAA ইস্যু নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন। যদিও কোনো প্রশ্নেরই স্পষ্ট জবাব দেননি অমিত শাহ। অন্যদিকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন তা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন অমিত শাহকে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছেন, বহুবার গেরুয়া শিবির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছাড়াই ভোটে লড়েছে এবং জেতার পর ঠিক হয়েছে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন।

বাংলার ক্ষেত্রেও সেই একই স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে শাসকদল বারংবার অভিযোগ তোলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বিজেপির ঘনিষ্ঠ। অমিত শাহের উদ্দেশ্যে এদিন সাংবাদিকরা প্রশ্ন রাখেন, রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের সীমা কি লঙ্ঘন করছেন বাংলায়? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য জগদীপ ধনকর এর পাশেই দাঁড়িয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর মতে, রাজ্যপাল যা করছেন, তা সংবিধান মেনেই করছেন। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে দার্জিলিংয়ের ডিএমকে দেখা করার পরে তাঁকে কেন বদলি করে দেওয়া হল?

আপাতত মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে একের পর এক অভিযোগ তুলে কড়া আক্রমণ করলেন সাংবাদিক সম্মেলনে, তাতে তিনি শাসক দলকে যে কড়া বার্তা দিয়ে গেলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেকথা পরিষ্কার। তবে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে যে মন্তব্য করলেন, তা থেকে স্পষ্ট বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির এই মুহূর্তে কোনো সম্ভাবনা নেই। আপাতত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপি শিবিরের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করার দিকেই লক্ষ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আর সে ভাবেই তিনি বার্তা দিলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!