পঞ্চায়েতের টাকায় নিজের নামে বাইকই কিনে ফেললেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা! শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি August 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো বারবার তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের বলেছেন মানবিক হতে, স্বচ্ছ থাকতে। আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যে স্বচ্ছতার নিরিখে অনুষ্ঠিত হবে, একথাও তিনি বারবার বলেছেন। কিন্তু বেশ কয়েকবছর ক্ষমতার অলিন্দে বিচরণ করে তাঁর দলের বহু নেতা-কর্মী যে দাম্ভিক, জনগণের সাথে সম্পর্কহীন, সর্বোপরি অস্বচ্ছ হয়েও পড়েছেন এমন অভিযোগ কিন্তু বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরামবাগের খানাকুল-২ ব্লকের রাজহাটি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে শোনা গেল আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই আরামবাগের খানাকুল-২ ব্লকের রাজহাটি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর প্রামাণিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে থেকে পাওয়া অম্ফানের ক্ষতিপূরণ দান নিয়ে অসচ্ছতা তথা জালিয়াতির অভিযোগ এসেছিল। প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অম্ফান কেলেঙ্কারির অভিযোগের সত্যতা বিচার করতে গিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে উঠে এলো আরো একটি আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে গত ২০১৯ সালে পঞ্চায়েতের তহবিলের টাকা হাতিয়ে তিনি নিজের নামে একটি বাইক কিনে নিয়েছেন । যদিও নিজের নামে ওঠা এই বাইক কেনার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। এ প্রঙ্গে তিনি বলেছেন, ” বাইক কেনা হয়েছে একথা ঠিক। কিন্তু, ওই বাইক কখনওই আমি নিজের নামে কিনিনি। পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় যাতায়াত ও পঞ্চায়েতের কাজের জন্য ওই বাইকটি কেনা হয়েছিল।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, মহকুমার পরিবহন দপ্তর কিন্তু অন্য কথাই বলছে। পরিবহন দপ্তর সূত্রের তরফ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৭ ই জানুয়ারি পরিবহন দপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত ডব্লুবি ১৮ ডব্লু ৬০৯৫ নম্বর এর যে বাইকটি রয়েছে তা পঞ্চায়েত প্রধান সমীর প্রামাণিক-এর নামেই রয়েছে। অন্যদিকে, খানাকুল-২ -এর বিডিও পঞ্চায়েত প্রধানের এই বাইক কেনার বিষয়ে জানিয়েছেন, ” পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে কেউ কখনই ব্যক্তিগতভাবে নিজের নামে বাইক কিনতে পারেন না। ওই টাকা দিয়ে যাই কেনা হোক না কেন, তা পঞ্চায়েতের নামে হতে হবে। প্রধানের মোটর বাইক কেনার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরুপের এই অভিযোগ নিয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ যাদব বলেছেন যে, তৃণমূল দল কখনই আর্থিক তছরুপের্ মতো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে না। এ বিষয়ে জারি করা হবে উপযুক্ত প্রশাসনিক তদন্ত। আর উক্ত তদন্তে প্রদানের বিরুদ্ধে ওঠা তছরুপের অভিযোগটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তবে দল তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যাইহোক শাসকদলের প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরুপের এই অভিযোগ স্থানীয় শাসক দলকে যথেষ্ট যে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কারণ ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপি শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযের তীর বর্ষণ করতে শুরু করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আরামবাগ অঞ্চলের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ মন্তব্য করেছেন, “বাংলার মানুষকে সর্বস্বান্ত করার জন্যই এই ধরনের লুট চলছে।” আপনার মতামত জানান -