এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলের মধ্যে বিভাজন ফের প্রকাশ্যে, এবার শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে গরহাজির স্বয়ং পার্থ, কারণ নিয়ে জল্পনা

দলের মধ্যে বিভাজন ফের প্রকাশ্যে, এবার শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে গরহাজির স্বয়ং পার্থ, কারণ নিয়ে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবারো বিভাজনের চিহ্ন তৃণমূল শিবিরে। কোচবিহার জেলায় জেলার চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না দলের জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় ও দলের তিন বিধায়ক। তাঁরা অনুপস্থিত থাকায় আবার বিভাজন ও অন্তর্দ্বন্দ্বের আশঙ্কা কোচবিহার জেলা তৃনমূল শিবিরে। একেই কোচবিহার জেলায় দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করে দলকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রেখেছেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। গতকালের বৈঠকে জেলা সভাপতি ও কয়েকজন বিধায়কের অনুপস্থিতি দলের মধ্যে বিভাজনকে আরো স্পষ্ট ইঙ্গিত করল।

প্রসঙ্গত গতকাল বৃহস্পতিবার কোচবিহারে জেলা তৃণমূলের দলীয় অফিসে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহারের চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ বর্মন। বৈঠকে উপস্থিত হন নি কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ, তুফানগঞ্জ এর বিধায়ক ফজলে করিম মিঁয়া, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। একসঙ্গে এতজনের অনুপস্থিতি নিয়েই উঠছে নানা প্রশ্ন।

বিধায়ক মিহির গোস্বামী বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছেন। দলের অনুষ্ঠানে তাঁর তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাই তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। অন্যদিকে তুফানগঞ্জ এর বিধায়ক ফজলে করিম সাহেব বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ আছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর এসেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এর অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে।

এদিকে দু সপ্তাহ আগেই কোচবিহার জেলা তৃনমূল নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের সৃষ্টি করতে ও দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে জেলার চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ বর্মনের বাড়ীতে এক বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। জানা যায়, এই বৈঠকেও সকল বিধায়ক উপস্থিত হননি। তবে, গতকালের বৈঠকে জেলা সভাপতির অনুপস্থিতি, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন বাবুর অনুপস্তিতিকে নিয়ে দলে গোষ্ঠী দ্বন্দের, বিভাজনের আশঙ্কা করছেন অনেকে ।অনেকে মনে করছেন কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের মধ্যে সমন্বয় নষ্ট হয়ে স্পষ্ট বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানালেন যে, ইতিপূর্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে জেলার বিধায়কদেরকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে চলতে। এরপর গত ১৮ ই অক্টোবর তাঁর বাড়িতে বৈঠক বসে ছিল।বৈঠকে স্থির হয়, পরবর্তী সমস্ত বৈঠক হবে কোচবিহারের দলীয় অফিসে।এই হিসেবে গতকাল বৈঠক হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন যে, টেলিফোন করেও মিহির বাবুর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করা যায়নি, অন্যদিকে বিশেষ কারণের জন্য জলপাইগুড়ি গিয়েছেন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম বাবু, যা তিনি জানিয়েছিলেন, ফজলে সাহেব অসুস্থ আছেন, কিন্তু উদয়ন বাবুর অনুপস্থিতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। গতকালের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানালেন বিনয় বাবু।

অন্যদিকে গতকালের বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি সম্পর্কে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানালেন যে, তিনি বুধবার রাতেই জলপাইগুড়িতে তাঁর দিদির বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। একারণেই গতকালের বৈঠকে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, এই অনুপস্থিতির মধ্যে বিভাজনের কোন ব্যাপার নেই। কিন্তু বাদ বাকিরা কেন অনুপস্থিত ছিলেন? সে বিষয়ে তিনি জানেন না। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বিষয়টি পরে জানাবেন বলেছেন।

অন্যদিকে গতকালের বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ জানালেন যে, তাঁর শারীরিক সমস্যার কারণে বৈঠকে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। তবে, তিনি জানিয়েছেন যে, পরবর্তীকালে যে বৈঠকগুলির আয়োজন করা হবে, সেসব বৈঠকে তিনি নিশ্চয়ই যাবেন। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানালেন, ” সবার উপস্থিতিই গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ বিধায়ক ছিলেন। আগামীতে দলকে আরও শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য।” প্রসঙ্গত, রাজ্যের স্থানে স্থানে দেখা দিচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, মতভেদ, মতান্তর। দলের গোষ্ঠী কোন্দল অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!