বাংলাতে কখনই এনআরসি হতে দেব না, ফের হুংকার মমতার উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য October 22, 2019 অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরই দেখা যায়, অনেক বাঙালির নাম বাদ পড়েছে। যার পরে সেই ঘটনা নিয়ে অসম তথা গোটা ভারতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আর এই বিষয় নিয়ে বিজেপি বিরোধী প্রায় সব কটা রাজনৈতিক দল বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে গর্জে উঠলে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির। তবে সেই অস্বস্তিকে কিছুটা কাটিয়ে উঠে অসমের পর বাংলাতেও এনআরসি করা হবে বলে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শোনা যায়। তাই প্রথম থেকেই তিনি থাকতে কখনও এনআরসি করতে দেবেন না বলে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপিও পাল্টা এনআরসি স্বপক্ষে তাদের দাবি ওঠাতে থাকে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার এনআরসি নিয়ে ফের নিজের মতামত জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বস্তুত, অসমে এনআরসি চালুর পর ভোটার কার্ড যখন সংশোধন করা হচ্ছে বাংলায়, ঠিক তখনই সাধারণ মানুষের মনে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল যে, হয়ত বা এই প্রক্রিয়া হচ্ছে সেই এনআরসির কারণেই। যদিও বা প্রথম থেকেই এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মনে এই ব্যাপারে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অনেক মানুষ তাদের সঠিক প্রমাণ পত্র জোগাড় না করতে পেরে মারা গেছেন বলে দাবি।আর এই প্রক্রিয়ায় সবথেকে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের মানুষ। তাই সোমবার সেই উত্তরবঙ্গে পা রেগে সেখানকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি কখনই এনআরসি হতে দেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন উত্তরবঙ্গের পুলিশ লাইনের বিজয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাতে কখনই এনআরসি হতে দেব না। আমি আপনাদের পাহারাদার। একটা মানুষকেও বাংলা থেকে যেতে দেব না। এনআরসি নিয়ে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের একাংশ রাজবংশীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অসমে রাজবংশীদের নামই সবথেকে বেশি বাদ পড়েছে। মানুষের মধ্যে কোনোভাবেই ভেদাভেদ বরদাস্ত করা হবে না।” অন্যদিকে এদিন নিজের নাম দিয়ে তুলে ধরে মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে সকলকে এক সুতোয় বাধারও চেষ্টা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই যে আমি মমতা ব্যানার্জি। আমি যদি বলি শুধু ব্যানার্জি থাকবে, আর কেউ থাকবে না, এটা আমি ভাবতেই পারি না। বরং ব্যানার্জি চলে যাক, মানুষ থাকুক। এটাই আমি চাই।” বিশ্লেষকদের মতে, এনআরসি নিয়ে কূটকচালিতে সব থেকে বেশি উত্তরবঙ্গের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই এবার সেই উত্তরবঙ্গে উপস্থিত হয়ে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি থাকতে কখনই এনআরসি হতে দেবেন না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই কথা বলে তিনি সাধারণ মানুষের আরো কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করলেন বলে মত বিশ্লেষকদের। আপনার মতামত জানান -