এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Breaking News, বিশেষ দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট সাংসদ

Breaking News, বিশেষ দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট সাংসদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ বিশেষ দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গেলেন দমদমের বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রসঙ্গত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে অন্যতম হলো পোলিং বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে কোন রাজ্য পুলিশ থাকবেন না। এই অংশে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকবেন। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তেই প্রবল আপত্তি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। তৃণমূলের দাবি, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশকেও রাখতে হবে। না হলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে।

প্রসঙ্গত, রাজ্য পুলিশ নিরপেক্ষ নয়, রাজ্য পুলিশ শাসকদল তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে, এমন অভিযোগ বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার উঠেছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে বিরোধিরা বারবার প্রশ্ন করেছে। এরপরই রাজ্যের পুলিশের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে পোলিং বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে থাকবে না রাজ্যের পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁরা জানালেন, মিডিয়ার রিপোর্ট থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, পোলিং বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে থাকবে না রাজ্য পুলিশ। তাঁদের অভিযোগ, এর ফলে রাজ্য পুলিশের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ, রাজ্য পুলিশ সারা বছর ধরে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখে। ভোটের সময় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হতেই পারে। কিন্তু রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুষ্ঠু সমন্বয় থাকা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার নানা অভিযোগ করেছে বিরোধী শিবির। বিরোধীদের অভিযোগ, জেলায় জেলায় থাকা পুলিশ সুপাররা, থানার ওসিরা তৃণমূলের জেলা সভাপতির মত কাজ করে থাকেন। ভোটের সময় বিশেষ সুবিধা করে দেন তারা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। জেলা সংগঠনে কারা কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না, তা তাঁরা উপরমহলে জানিয়ে দেন। রাজ্য পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছে একাধিক বিরোধী শিবির। রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারকেও এমন অভিযোগ করতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত, পুরসভা নির্বাচনে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিরোধী শিবিরকে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে চরম অশান্তি হলেও, পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এবার নির্বাচন কমিশনের এই কঠোর পদক্ষেপ।

একাধিক বিশ্লেষক মনে করছেন যে, বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের অসন্তোষ জাগিয়ে তুলতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আবার, বিরোধী দলনেত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্য পুলিশের উপর নির্বাচনের সময় বিন্দুমাত্র ভরসা রাখতেন না। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, বামফ্রন্টের আমলে পুলিশি সম্পূর্ণভাবে বাম দলদাসে পরিণত হয়েছে। এবার একই ধরনের অভিযোগ করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী শিবিরকে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!