এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সি এ এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ

সি এ এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ

সিএএ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য দেশবাসীকে ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে নেই। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতায় মহা মিছিল শুরু হয়েছে। সেখানেই দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে পা মিলিয়ে রীতিমত তুলোধোনা করেছেন মোদি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিল কলকাতা পেরিয়ে সারা পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ রীতিমতো তোপ দেগেছেন।

বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, সিএএ নিয়ে বিজেপির মিছিলে লক্ষ লক্ষ লোক হাঁটে। সেদিকে তৃণমূলের মিছিলে হাজার হাজার লোক পা মেলায়। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে নেই কোন শিল্প, নেই কোন শিক্ষার পরিবেশ। তাই রাজ্য থেকে হারিয়ে যাওয়ার আগে খড়-কুটোর মত এনআরসি ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে তৃণমূল দল। দিলীপ ঘোষ আরো বলেছেন, অসমে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এনআরসি চালু হয়েছে, বিজেপির নির্দেশে নয়।

দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল প্রতিবাদ মিছিল চালিয়ে যাচ্ছে। যে রাজ্যে শিক্ষার পরিবেশ নেই, শিল্পের সম্ভাবনা নেই, সেগুলি চাপা দিতেই এনআরসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে তিন তালাক, সংবিধানের 370 ধারা বাতিল করেছে। সেগুলোর বিরোধীতা করতে আন্দোলনে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তার সেই আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এবার সি এ এর বিরুদ্ধে যে আন্দোলন তিনি করছেন, তাও ব্যর্থই হবে। দিলীপ ঘোষ আরো মন্তব্য করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন পর্যন্ত যা যা আটকানোর চেষ্টা করেছেন, সেগুলি ব্যর্থ হয়েছে। দিলীপ ঘোষ এর পর কটাক্ষ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কান ধরে মানতে হবে সিএএ। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি থেকে নোট বাতিল সবকিছু নিয়েই এরাজ্যে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরে তিনি সবকিছু মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এবারও তার অন্যথা হবে না।

রাজ্য বিজেপি সভাপতির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যেভাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর ওপর অভিযোগ এনেছেন শিল্প এবং শিক্ষার পরিবেশ নেই বলে মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গ চাপা দিয়ে এনআরসি নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। ঠিক একইভাবে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকে যাতে কারো নজর না যায়, সে কারণে এনআরসি নিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে কেন্দ্র। আপাতত তর্ক-বিতর্কর মাঝেই এনআরসি সংক্রান্ত ঘটনার নতুন মোড় কি হতে চলেছে, তার দিকে নজর রাখবে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!