এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিএএ নিয়ে চরম বিভ্রান্তি! মমতাকে মুখ সেলাই করার পরামর্শ শুভেন্দুর!

সিএএ নিয়ে চরম বিভ্রান্তি! মমতাকে মুখ সেলাই করার পরামর্শ শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যে করেই হোক কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে হবে। যে করেই হোক, নরেন্দ্র মোদীর যে কোন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে হবে, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান এজেন্ডা। তিনি বিজেপির সঙ্গে পেরে উঠছেন না এবং এবারের লোকসভা নির্বাচনে তার দল গোহারা হারবে, সেটা তিনি নিজেও খুব ভালো মত জানেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকার যখন নিজেদের দেওয়া একের পর এক প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে এবং শেষ মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে গতকাল সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করে, তারপর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বেশি করে আতঙ্কিত। এতদিন তিনি সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়েছেন, তাদের ভোট পাওয়ার জন্য একটা বিষয় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি এই সিএএ লাগু করে সবার নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। কিন্তু সেটা যে একেবারেই ভুল, তা পাল্টা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমন এক শব্দ বন্ধনী দিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তারপর যদি লজ্জা থাকে, তাহলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথা বলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে আসবেন না।

প্রসঙ্গত, এদিন সিএএর বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অযাচিতভাবে তার বিরোধিতা করেছেন নবান্ন থেকে। আর তারপরেই এর বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে দেশের সাধারণ মানুষদের মধ্যে। মতুয়া সমাজের মানুষরা নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় গোটা মুহূর্তকে উদযাপন করছেন। তবে তৃণমূল কোনো গঠনগত বিরোধীতা না করে শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য এর বিরুদ্ধে যা খুশি তাই বলে যাচ্ছে। তাই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি মমতা ব্যানার্জিকে বলব, মুখটা একটু বন্ধ করে রাখুন। কেন্দ্রীয় সরকার এমন একটা মেকানিজম করেছে যে, এই নির্দেশ অমান্য করার মত কোনো রোল রাজ্য সরকার বা রাজ্যের জেলাশাসকদের নেই। আমি শুধু মমতা ব্যানার্জিকে বলব, আপনি একটু চুপ করে থাকুন। মুখটা সেলাই করে রাখুন।”

অনেকের প্রশ্ন, এবার খুব ভালো লাগছে তো এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর? শুধুমাত্র মানুষকে ভুল বোঝানোই তার একমাত্র এজেন্ডা ছিল। আর সেটা করতে গিয়ে তিনি এবার শুভেন্দু অধিকারীর কাছে যে আক্রমণের শিকার হলেন, তারপর লজ্জা থাকলে আর দুইবার সিএএ নিয়ে তিনি বিভ্রান্তিকর কথা বলতে আসবেন না। এতদিন সংখ্যালঘুদের বোকা বানানোর কাজ এই সিএএকে হাতিয়ার করে করার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সিএএ হওয়ার পর একজনেরও নাগরিকত্ব যাবে না বলে গ্যারেন্টার দিয়েছে বিজেপি নেতারা। তাই মুখ্যমন্ত্রী যে ভুল কথা বলছেন, সেটা প্রমাণিত হচ্ছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে যখনই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরোধিতা করেন, তখন তার মুখোশ খুলে দিতে সব সময় তৎপর থাকেন শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রেও তিনি তাই করেছেন। আর শুভেন্দু অধিকারী যা বলছেন, সেটা তো ভুল নয়। বরঞ্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন। আর তার বিরুদ্ধেই মানুষের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য সিএএ যে ভুল কিছু নয়, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্বভাবতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট পাওয়ার জন্যই যে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন, সেটা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!