এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চিটফান্ড লুটে জর্জরিত তৃনমূল, সামনে আরও বড় বিপদ! বোমা ফাটালেন সুকান্ত!

চিটফান্ড লুটে জর্জরিত তৃনমূল, সামনে আরও বড় বিপদ! বোমা ফাটালেন সুকান্ত!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে সর্বনাশের রাজনীতি করছে এই রাজ্যের শাসক দল, তাতে বেশিদিন আর এটা যে চলবে না, সেটা প্রত্যেকটা দিক থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবদিক থেকেই তৃণমূলের চালাকি এবার সামনে চলে আসছে। বেকারদের চাকরি নিয়ে যে দুর্নীতি, কোটি কোটি টাকা নিয়ে যে সর্বনাশ এই রাজ্যের শাসক দল সাধারণ মানুষের সঙ্গে করেছে, তার পর্দা যত দিন যাচ্ছে, ততই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি বড় ধাক্কা খেলো এই রাজ্যের শাসক দল। যেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ডের একটি তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের আর্থিক কোষাগার থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা তারা সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে। আর তার ফলে ভোটের মুখে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে এই রাজ্যের শাসক দল। দিনের শেষে একটা জিনিস বোঝা যাচ্ছে যে, তৃণমূলের লুটের রাজনীতি কতটা ভয়ঙ্কর! তারা কিভাবে সাধারণ মানুষকে শোষণ করেছে! তবে শুধু এটা নয়, আগামী দিনে আরও ভয়ংকর বিপদ আসছে এই রাজ্যের শাসক দলের জন্য। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে কথা বললেন, তা রীতিমত চমকে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলকেও। কিন্তু কি এমন বললেন তিনি?

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের 10 কোটি টাকা সাময়িকভাবে ইডির বাজেয়াপ্ত নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “এর থেকে তো এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, তৃণমূল এই চিটফান্ড লুটের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে আমি অবাক হব না, যদি ভবিষ্যতে ডিয়ার লটারি, মার্টিন লটারিকে সবে ধরেছে। যদি তারপর তৃণমূলের আরও দুটো অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়, তাহলে আমি একেবারেই আশ্চর্য হব না।” একাংশ বলছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সবে খেলতে শুরু করেছে। এই রাজ্যে ডিয়ার লটারিতে কি পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, সেই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার হচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার অ্যালকেমিস্টের মামলায় যেভাবে তৃণমূলের আর্থিক কোষাগার সমৃদ্ধ হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইডি পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে তৃণমূল চরম বিপর্যস্ত। আর তার মধ্যে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথা বলে সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের ভিতকে আরও নড়বড়ে করে দিলেন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আরও বড় বিপদের মুখে পড়তে চলেছে এই রাজ্যের শাসক দল?

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল মানেই দুর্নীতি, এটা বাংলার সাধারণ মানুষরাও বুঝে গিয়েছেন। যে রাজ্যের শাসক দলকে মানুষ অনেক বিশ্বাস করেছিলেন, আজকে তারা বাংলার সব দিক থেকে সর্বনাশ করেছে। এটা আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ইডির একটি পদক্ষেপে। তার মানে তৃণমূল অ্যালকেমিস্টের দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে এটা একটি নমুনা মাত্র। বিজেপির দাবি, আগামী দিন আরও এমন অনেক কিছু হবে, যার ফলে তৃণমূলের নাম শুনলেও বিরক্ত হয়ে উঠবেন বাংলার গণতন্ত্র প্রেমী সাধারণ মানুষ। যারা মানুষের টাকা লুট করে ডিয়ার লটারির নামে ব্যবসা করেছে, সেই সমস্ত রাঘব বোয়ালরাও কিন্তু এবার ফেঁসে যেতে পারেন। তাদের ঘুম উড়ে যেতে পারে, এরকম ভয়ঙ্কর বিপদ ধেয়ে আসছে। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!