এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডাক্তারের ‘নিষেধে’ করোনা থেকে বাঁচতে ‘উধাও’ তৃণমূলী হেভিওয়েটরা! পাল্টা জমি গোছাচ্ছে বিজেপি

ডাক্তারের ‘নিষেধে’ করোনা থেকে বাঁচতে ‘উধাও’ তৃণমূলী হেভিওয়েটরা! পাল্টা জমি গোছাচ্ছে বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট 2020 র শুরু থেকেই দেশজুড়ে করোনা থাবা বসিয়েছে সর্বত্র। রাজ্যের ছবিও তথৈবচ। করোনা আবহে সামাল দিতে রাজ্য প্রশাসন প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শাসক দলের অভ্যন্তরে করোনা আবহে ঘরে থাকার নজির ফিরে ফিরে আসছে বারবার। আর তাই নিয়ে এবার কড়া মন্তব্য করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জরুরী ভিত্তিতে একটি দলীয় বৈঠক করেন ভার্চুয়ালি। আর সেখানেই তিনি দলের বিধায়ক মন্ত্রী ও পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, বৈঠকে এদিন দলের মন্ত্রী, বিধায়ক, কার্যকর্তাদের দিকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যজুড়ে করোনা আবহে যেখানে গেরুয়া শিবিরের প্রত্যেকে তাঁদের সংগঠনের ভিত মজবুত করার কাজে নেমেছে সর্বত্র, সেখানে তৃণমূল শিবির কি করে হাত গুটিয়ে বসে আছে? এবং মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে শাসকদল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে শুক্রবার যে ভিডিও বৈঠক হয় তৃণমূল শিবিরের, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়া জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, গত তিন মাস যাবত তিনি কোথায় ছিলেন?

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, লকডাউনের শুরু থেকেই বহু তৃণমূল বিধায়ক চুপচাপ বসে ছিলেন। এদিন বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যজুড়ে কাজে নামার জন্য। অন্যদিকে শান্তিরাম মাহাতোর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গিয়েছে, 65 বছরের শান্তিরাম মাহাতোর শরীরে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা বর্তমান। আর সে কারণেই লকডাউনের শুরু থেকেই ডাক্তারের পরামর্শে তিনি বাইরে বের হননি। যদিও তিনি ফোনের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলের কাজ চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে লকডাউন এর শুরুতে শান্তিরামবাবুকে দলীয় কাজকর্মে সেভাবে প্রকাশ্যে দেখা না যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল দলের অন্দরেই। যদিও লকডাউন কিছুদূর এগোনোর পর আবার নতুন করে তৃণমূলকে রাজ্যে সাংগঠনিক কাজকর্মে নামতে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে বর্তমানে যোগদান শুরু হয়েছে। সাধারণত পুরুলিয়ায় দলবদলের অনুষ্ঠানে শান্তিরাম মাহাতো উপস্থিত থাকতেন বরাবর এবং নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দলে স্বাগত জানাতেন। তাঁর অবর্তমানে এই কাজ করছিলেন দলের সহ-সভাপতি সুজয় বন্দ্যপাধ্যায় বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আপাতত জানা যাচ্ছে, আনলক ওয়ান পর্বে আবার নতুন করে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছেন শান্তিরাম মাহাতো। ইতিমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও জেলা নেতাদের নিয়ে সম্প্রতি পুরুলিয়া শহরে একটি বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে শাসকদলের বিধায়কদের একাংশ দাবি করেছেন, রাজ্য প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশেই তাঁরা লকডাউন চলাকালীন বাইরে বিশেষ বেরোননি। কারণ বিভিন্ন জায়গায় বিধায়করা গেলেই ভির বাড়ছিল।

লকডাউনের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যেহেতু প্রথম নির্দেশ ছিল, তাই সতর্কতা বজায় রাখার জন্যই কিছুদিন গৃহবন্দী ছিলেন শাসকদলের সবাই। যদিও লকডাউন চললেও তৃণমূলের অন্যান্য বিধায়ক যেমন কাশীপুরের স্বপন বেলথরিয়া, রঘুনাথপুর এর বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি, বিধায়ক উমাপদ বাউরী, বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সরেনকে বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণসামগ্রী দিতে এবং কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছে। সুতরাং বিধায়কদের প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকার তত্ত্বটি ধোপে টেকেনি বলেই মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

সামনে আসছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই আবারও বিধানসভার মসনদ নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল শিবির। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম বিরোধী দল হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির যেভাবে নিজেদের সংগঠনের জোর প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে তা কিন্তু চিন্তার ভাঁজ ফেলছে তৃণমূল শিবিরে। আর সে কারণেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতটা উৎকণ্ঠিত হয়ে রয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। আর তাই করোনা আবহকে সঙ্গে নিয়েও এবার রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে মাঠে ময়দানে নামতে চলেছেন তৃণমূল বিধায়করা বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!