এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার মমতার! তৃণমূলের ঘুম কেড়ে নিলেন অর্জুন!

সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার মমতার! তৃণমূলের ঘুম কেড়ে নিলেন অর্জুন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সব সময় ভুলভাবে মানুষকে পরিচালিত করার চেষ্টা করেন এবং প্রতিটি গঠনমূলক উন্নয়নকে অস্বীকার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তার বিরুদ্ধে বারবার সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। সিএএ নিয়ে এতদিন অনেক মিথ্যা কথা বলেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের নেতারা। সোমবার সিএএর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী এর বিরোধিতা করেছেন। তিনি আবার দাবি করেছেন যে, এর ফলে নাকি নাগরিকত্ব চলে যাবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিচারিতার পর্দা ফাঁস করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার সহ গোটা বিজেপির পরিবার। তবে এবার তৃণমূল দলের মধ্যে থেকেই তাদের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করলো আওয়াজ। টিকিট না পেয়ে অভিমানী অর্জুন সিংহ এবার এই সিএএ এর পক্ষেই সাওয়াল করে বুঝিয়ে দিলেন, কেউ বা কারা এই সিএএএর বিরোধিতা করে যেটা বলছেন, সেটা একেবারেই ভুল। অর্থাৎ ঘুরিয়ে তিনি যে নিজের দলের নেত্রীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন, সেটা স্পষ্ট। আর এর ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়ে গেল এই রাজ্যের শাসক দল বলেই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু অর্জুন সিংহ কি এমন বললেন! কেনই বা তিনি এমন কথা বললেন!

প্রসঙ্গত, এতদিন এই সিএএএর ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের ভোট নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল। কিন্তু এবার বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার তাদের মন থেকে এই ভুল ভাবনা দূর করতে তৎপর। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সিএএর বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরেই বিজেপি নেতারা দাবি করছেন যে, কারওর নাগরিকত্ব যাবে না। তবে তৃণমূল আবার পাল্টা বলছে যে, বিজেপি সর্বনাশের রাজনীতি করছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই টিকিট না পাওয়ার পর থেকে যে অর্জুন সিংহ দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বক্তব্য রাখছেন, সেই অর্জুন সিংহই সিএএর পক্ষে মতামত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, এর ফলে মতুয়ারা স্বীকৃতি পেল‌। পাশাপাশি তার দলের নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে এবং যেভাবে বলছেন যে, নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে, সেসব কথা যে একেবারেই ভুল এবং মিথ্যা, সেটাও স্পষ্ট করে দিলেন অর্জুনবাবু। এখন তৃণমূল বলতেই পারে যে, অর্জুন সিংহ সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ। তিনি বিজেপিতে যাবেন, তাই এখন বিজেপিতে যাওয়ার রাস্তা পাকা করতে এবং বিজেপির টিকিট পেতেই তিনি এই ধরনের কথা বলছেন। তবে তৃণমূলের এইসব কথায় কারওর কিছু যায় আসে না। আজকে অর্জুন সিংহ বলছেন। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত মানুষকে এতদিন ভুল বুঝিয়ে রেখেছিলেন, তারাও এই বিষয়ে কথা বলতে শুরু করবেন। তারাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যে, বিভ্রান্তিকর রাজনীতিকে সায় না দিয়ে ভোটের বাক্সের তৃণমূলকে উপযুক্ত জবাব দেবেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি নেতারা গর্বের সঙ্গে যে দাবিটা করছেন, সেটা কিন্তু মানুষ এখন বিশ্বাস করছেন। এতদিন তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বিশ্বাস করেছিলেন যে, নাগরিকত্ব চলে গেলে তারা কি করবেন! কিন্তু এই সব কিছুই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট পাওয়ার রাজনীতি, তা প্রতি পদে পদে প্রমাণিত। সেই কারণে বিজেপি নেতারাও এবার বলতে শুরু করেছেন যে, একবার তাদের ওপর ভরসা রেখে দেখুন। যদি কারও নাগরিকত্ব চলে যায়, তাহলে তার গ্যারেন্টার হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার এই সিএএ লাগু করে যে খারাপ কিছু করেনি এবং এর ফলে যে কারও নাগরিকত্ব যাবে না, বরঞ্চ যারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তারা যে নাগরিকের স্বীকৃতি পাবেন, সেটা বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি বলতে শুরু করেছেন তৃণমূলের অর্জুন সিংহও। আর আগামী দিনে তৃণমূলের মধ্যে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মিথ্যে কথার রাজনীতি বিরুদ্ধে আরও আওয়াজ উঠবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!