সিএবি বিরোধিতায় জ্বলছে বাংলা! ট্রেন-বাসে আগুন, সাধারণের প্রাণ সংশয়! প্রশাসন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন কলকাতা রাজ্য December 15, 2019 সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষ পাস হয়ে গিয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। আর তা দুই কক্ষে পাস হওয়ার পরই তাদের সই করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর হওয়ার পরই সেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে সংঘর্ষ। ইতিমধ্যেই দুই 24 পরগনা, হাওড়া, নদিয়া মুর্শিদাবাদ, বীরভূম সহ একাধিক জেলায় এই বিলের বিরুদ্ধে জ্বলন্ত প্রতিবাদ লক্ষ্য করা গেছে। কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালানো, গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর এবং ট্রেন লাইনে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনাও প্রত্যক্ষ করেছে গোটা বঙ্গবাসী। লালগোলার কাছে কৃষ্ণপুর স্টেশনে পরপর পাঁচটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বসিরহাটের কাঁকড়া, মির্জানগর, সন্ডালিয়া, সাকরাইল, হরিশচন্দ্রপুর সহ অনেক স্টেশনেই আগুন ধরানো হয়। কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েও অনেক মানুষকে প্রবল নাকাল হতে হয় এই বিক্ষোভের জন্য। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে গড়ফার কাছে প্রথমে অবরোধ এবং পরে 19 টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অবরোধকারীদের রোষানলে পড়ে এম্বুলেন্স। চলে ইটবৃষ্টি। পাল্টা এই গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পক্ষ থেকেও লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ফাটানো হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন সিটি পুলিশের ডিসি স্বাতী ভাংগালিয়া সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। এদিকে উত্তর 24 পরগনার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে প্রবল বিপাকে ফেলা হয়। অভিযোগ, বারাসাতের কাজীপাড়ায় রাস্তা অবরোধ করে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রীকে হেনস্থা করা হয়েছে। তবে শুধু উত্তর 24 পরগনা নয়, এদিন দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন এলাকাতেও এই নাগরিক সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে প্রবল বিক্ষোভ সংগঠিত হতে দেখা যায়। একইভাবে নদীয়ার তেহট্টর মালিয়াপোতা, চাপরা, কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ, ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, বেলডাঙ্গায় দমকলের গাড়িতে আগুন লাগানো, সামশেরগঞ্জ থানায় হামলা, সূতির টোলপ্লাজাতে ভাঙচুর চালানো হয়। অবরোধকারীদের বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষন আটকে থাকতে দেখা যায় শতাব্দী এক্সপ্রেসকে। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও এই নাগরিক সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ নাকাল হতে দেখা যায় জনসাধারনকে। মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, আবার কোথাও বা সেই নাগরিকত্ব আইনের কপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ করা হয়। তিস্তা, তোর্সা এক্সপ্রেস সহ বহু শিয়ালদহগ্রামী ট্রেন এর ফলে আটকে পড়ে। আর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পরে যেভাবে সারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত উত্তাল হতে শুরু করেছে, তাতে কবে শান্তি ফিরবে, এখন এই প্রশ্নই সবথেকে বেশি করে উঠতে শুরু করেছে সকল মহলে। অনেকেই বলছেন, কেন্দ্রের এই বিল পাসের ফলে অনেক মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করে বিক্ষোভ করলেও, বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রশাসন কেন সেই বিক্ষোভ থামাতে উদ্যোগী হচ্ছে না! তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -