এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরেই বিক্ষোভ শুরু হতে “দলীয় শৃঙ্খলার” কড়া অনুশাসন দিলীপ ঘোষের গলায়

প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরেই বিক্ষোভ শুরু হতে “দলীয় শৃঙ্খলার” কড়া অনুশাসন দিলীপ ঘোষের গলায়


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় গেরুয়া ঝড় তোলার জন্য ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মনে অনেকটাই জায়গা দখল করে নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এবারে নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই দলের একাংশের বিক্ষোভ চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের কপালে।

কেননা এবারে বাংলার বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চেয়ে বিজেপির কাছে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছিল। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই সবার মন মত প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি। যেমন, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে কিছুদিন আগেই এইখানে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন নিশীথ প্রামাণিক।

আর দলে এসেই তাঁকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী করে দেওয়ায় সেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই বিজেপির একাংশ কোচবিহারের বিজেপির কার্যালয়ে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে থাকে। আর এরপরই দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে গোটা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে সেখানে পৌঁছে যান বঙ্গ বিজেপি পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। পরে অবশ্য গোটা পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। কিন্তু এইভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর যদি প্রকাশ্যে বিদ্রোহ হতে থাকে, তাহলে ক্ষমতায় আসলে কি হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন শুরু হলে এদিন সেই ব্যাপারে সেই দলের বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্যে কড়া হুশিয়ারি দিতে দেখা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শনিবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরী প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এক বৈঠকে বিজেপির সমস্ত জেলার সভাপতিদের উদ্দেশ্যে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ন রাজনৈতিক দল। লোকসভা ভোটের প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল। কোনোরূপ দলবিরোধী ক্রিয়াকলাপ আমরা বরদাস্ত করব না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাদেরকে যোগ্য মনে করেছে তাদেরকেই প্রার্থী করা হয়েছে। তাই যাদের প্রার্থী পছন্দ হবে না তারা বিজেপি ছেড়ে দিতে পারেন।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রথম থেকেই যাতে দলকে শুদ্ধিকরণে বেঁধে দেওয়া যায় সেজন্যই এদিন বিদ্রোহী নেতাদের উদ্দেশ্যে কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কেননা বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সবথেকে বড় মাথাব্যথার কারণ তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাই বিজেপিতে যাতে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ না আসে সেজন্য আগেভাগেই দল যা ঠিক করে দিয়েছে সেই সিদ্ধান্তই সকলকে মাথা পেতে নিতে হবে না হলে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে যান বলে দলীয় নেতাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। যা বিজেপির পক্ষে অদূর ভবিষ্যতে অত্যন্ত ভালই হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

অন্যদিকে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত সমগ্র দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আগামী 23 মে আমাদের দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে বাংলা থেকে 23 টি আসন নিয়ে গিয়ে উপহার দিতে হবে। তাই এখন থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাত জোড় করে সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে ভোট প্রার্থনা করুন।” সব মিলিয়ে এবার প্রার্থী নিয়ে একদিকে দলের অন্দরে তৈরি হওয়া ক্ষোভ প্রশমন, আবার অন্যদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের একবার বাংলা থেকে বিপুলসংখ্যক আসন যাতে নিজেদের দখলে আনা যায় তার জন্য দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে প্রথম বৈঠকেই কড়া নির্দেশ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!