এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বৈঠকের নামে লবডঙ্কা? শুভেন্দুকে মডেল করলেই বাজিমাত! কবে বুঝবে বঙ্গ বিজেপি? চর্চা তুঙ্গে!

বৈঠকের নামে লবডঙ্কা? শুভেন্দুকে মডেল করলেই বাজিমাত! কবে বুঝবে বঙ্গ বিজেপি? চর্চা তুঙ্গে!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বৈঠকের পর বৈঠক। পর্যালোচনা, অনুসন্ধান বৈঠক আর শেষ হচ্ছে না বঙ্গ বিজেপির। কিন্তু এই বৈঠক শেষ করে কবে তারা রাস্তায় বেরোবে, এটাই এখন প্রশ্ন বিজেপির কর্মীদের। বর্তমান যে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব রয়েছে, তাদের অনেকেই নিজের এলাকায় দলকে জেতাতে পারেননি বিগত পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে তার আগের বিধানসভা নির্বাচনে। কিন্তু তারপরেও তারা বড় বড় কথা বলেই চলেছেন। কিন্তু অপরদিকে শুভেন্দু অধিকারী যেমন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে তৃণমূলকে চাপে রাখছেন, ঠিক তেমনই নিজের এলাকায় দলের বিস্তার ঘটিয়েছেন। তাই তাকে দেখে অন্তত বিজেপি বর্তমান নেতৃত্ব শিক্ষা নিক। আর এই কথা বিজেপি কর্মীদের মধ্যে থেকেই উঠে আসছে। এমত পরিস্থিতিতে আগামী লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপির পক্ষ থেকে আজ একটি রণকৌশল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এত বৈঠক করে কি লাভের লাভ কিছু হবে? যদি সেই বৈঠকের আলোচনার বিষয় গুলো বাস্তবে ফলপ্রসূ না হয়, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, আজ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি রণকৌশল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে একাধিক সাংসদ এবং কেন্দ্রের নেতারা সেই বৈঠকে একাধিক আলোচনা করেন। যার মধ্যে অন্যতম, আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের আসন সংখ্যা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়। একাংশ বলছেন, একটি রাজনৈতিক দলে গোপন বৈঠক হবে, রণকৌশল স্থির হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এত বৈঠক করে একের পর এক নির্বাচন পার হচ্ছে বিজেপি। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হচ্ছে কি? নেতারা কি নিজের এলাকায় দলকে জেতাতে পারছেন! তাহলে এই বৈঠক করে তারা কি করে নিশ্চিত হচ্ছেন যে, আগামী লোকসভায় তারা কার্যত রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবেন? যখন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব এই রণ কৌশল বৈঠক করছে, তখন তাদের মুরলিধর লেনের অফিসের বাইরে কর্মীদের চরম বিক্ষোভ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে সেই বিক্ষোভ সময় দিতে বিজেপি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে! আদৌ কি তারা কড়া মনোভাব নিতে পারছে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে! তা নিয়েও দলের মধ্যে অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের একাংশ বলছেন, সময় নষ্ট করার আর জায়গা নেই। লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে সবথেকে বড় কথা, কর্মীদের আবেগকে মান্যতা দিতে হবে। যা শুভেন্দু অধিকারী করছেন। যতটা সম্ভব তিনি লড়াই দিচ্ছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কর্মীদের মনোবল বুঝে তিনি এলাকার সংগঠনকে সাজাচ্ছেন। তাই তার পথেই এগিয়ে যেতে হবে বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে। তা না হলে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ফলের আশা করছে, তাতে তারা মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই তৃণমূল বিরোধী দল হয়ে উঠতে গেলে এবং মানুষের মন পেতে গেলে বিজেপিকে এখন রাস্তায় নেমে কাজ করতে হবে বলেই দাবি কর্মীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিজেপির একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করতেই পারেন। অনেকের মধ্যে তার প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। অনেকেই বলতে পারেন, তিনি তিন বছর হলো তৃণমূল থেকে এসেছেন। তাই তাকে কেন মানবেন? কিন্তু শুভেন্দুবাবু একটা জিনিস প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, জিততে না পারলে সংগঠনে তার কোনো দাম নেই। নেতা যখন হয়েছেন, তখন তাকে জেতাতেই হবে। যা বিজেপির অনেক বড় বড় কথা বলা নেতারা করতে পারেননি। তবে তারপরেও তারা বহাল তবিয়তে বড় বড় পদে রয়েছেন। কিন্তু যারা তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিচুতলায় মার খাচ্ছেন , তাদের জন্য অন্তত ঠিকমত লড়াইয়ের উৎসাহটা দিক এই রাজ্য নেতৃত্ব। তাহলেই তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করবেন কর্মীরা। তাই দিনের শেষে কর্মী মহলেও একটা দাবি উঠছে যে, রণকৌশল বৈঠক করে কিছুই হবে না। কাজের কাজ হবে তখনই, যখন শুভেন্দু অধিকারীকে মডেল করে এগিয়ে যেতে পারবে রাজ্য বিজেপি। কারণ এই মডেল প্রয়োগ না করলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা পশ্চিমবঙ্গের বুকে কার্যত অসম্ভব। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!