এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শুধু ছবি বিক্রিই নয়, আরও কি কি কারণে মমতা ব্যানার্জির পিছনে সিবিআই লাগবে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী

শুধু ছবি বিক্রিই নয়, আরও কি কি কারণে মমতা ব্যানার্জির পিছনে সিবিআই লাগবে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী

লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক ইস্যু নিয়ে সরব হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এজেন্সি ব্যবহার করে রাজ্যের শাসক দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাঁদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক সহকর্মী বলে পরিচিত মানিক মজুমদারকে সিবিআইয়ের জেলা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এরপর থেকেই কেন্দ্র সিবিআইকে দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের হেনস্থা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন খোদ তৃণমূল নেত্রী।

সম্প্রতি বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আঁকা এবং সেই ছবিকে কেন্দ্র করে প্রাপ্য অর্থ নিয়েও তৃণমূলকে বিঁধতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে। যা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর এরই মাঝে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগে সরব হলেন রাজ্যের শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী এবং কলকাতা পৌরসভার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে হাওড়ার আন্দুলে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সভা অনুষ্ঠিত করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। আর এদিন তারই পাল্টা সভায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত হন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে শুধু ফিরহাদ হাকিমই নয়, এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, ক্রীড়া দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতা, কর্মীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এই সভাতে উপস্থিত হয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলে পুরমন্ত্রী বলেন, “গোটা দেশে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নরেন্দ্র মোদির ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন। তাই বিজেপি এখন সিবিআইকে লেলিয়ে দিয়েছে। এখন ছবি কেনা নিয়ে সিবিআইকে লেলিয়ে দিয়েছে। এবার পোশাক কেনা নিয়েও সিবিআই আমাদের পেছনে লাগবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস কোনোদিন কোনো চক্রান্তকে ভয় করেননি, আর এখনও করবেন না।”

অন্যদিকে কৃষকদরদী হিসেবে কেন্দ্রের মোদি সরকার বর্তমানে নানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই বাংলার কৃষকদের জন্য “কৃষক বন্ধু” প্রকল্প ঘোষণা করেছে বলেও এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টিপ্পনী ছুড়ে দেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়েও এদিন বাম- বিজেপি সমঝোতার অভিযোগ করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সিপিএম নির্বোধ বলেই ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে দাদাভাই- দিদিভাই করছে।

সিপিএম নেতাদের গলায় এখন নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি নেতাদের সুর পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের হাওড়ার জনসভায় যে ভিড় হয়েছে তা যদি সিপিএমের ব্রিগেডে হত, তাহলেও তাঁদের গুরুত্ব যাওয়া যেত। কিছু বিক্ষিপ্ত মানুষ সিপিএমের ওই সমাবেশে গেছেন। ভাবতেও অবাক লাগে যে, এই দলটা রাজ্যে 34 বছর শাসন করেছে।”

অন্যদিকে এদিনের সভায় থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কেন্দ্রের মসনদে প্রধানমন্ত্রীর আসনে তাঁরা দেখতে চান বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আর এদিন ফের সেই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখানো প্রসঙ্গে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!