এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! জোর চাঞ্চল্য!

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! জোর চাঞ্চল্য!

করোনা মহামারি যখন গ্রাস করেছিল ভারতবর্ষকে, তখন থেকেই প্রতিটি রাজ্যের সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার ঐক্যবদ্ধভাবে চলার শপথ নিয়েছিল। রাজনৈতিক দূরত্বকে দূরে সরিয়ে রেখে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলা যায়, তার জন্য চেষ্টা করেছিলেন সকলেই। কিন্তু হঠাৎই সেই পথ যেন স্তব্ধ হয়ে গেল। বস্তুত, বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে ঠিকমত লকডাউন মানা হচ্ছে না, রেশনে দুর্নীতি হচ্ছে, এই সমস্ত অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি রাজ্যের বেশকিছু জায়গাকে বিশেষ উদ্বেগজনক বলে চিহ্নিত করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির মত জেলাগুলো। আর পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু রাজ্যে এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর সাথে সাথেই পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে বিরোধিতা প্রকাশ্যে চলে আসে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আসা নিয়ে।

যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে, তারমধ্যে সমস্ত রাজ্যই বিরোধীদের দখলে রয়েছে। একমাত্র মধ্যপ্রদেশ বাদে আর সমস্ত রাজ্য বিরোধীদের দখলে থাকায়, কেন্দ্র প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করে সেই সমস্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন। প্রথমদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার একযোগে করোনা মোকাবিলায় কাজ করলেও, এবার এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে তৃণমূলের আপত্তির জেরে সেই ঐক্যবদ্ধতা অনেকটাই ভেঙে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিন তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় তাহলে পরিদর্শনে তালিকায় গুজরাট বা তামিলনাড়ুর একটা জেলাও নেই কেন? উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর মত রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক। সব রাজ্য একসঙ্গে মিলে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করছে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কেন্দ্রীয় সরকার লড়ছে কয়েকটা রাজ্যের বিরুদ্ধে।” একইভাবে এই বিষয়ে গোটা ব্যবস্থাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল যদি কোনো রাজ্যে আসতে চায়, প্রথা মেনে, যথাযথভাবে তাহলে তারা স্বাগত। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে একথা জানিয়েছেন। দিল্লির প্রতিনিধিরা আগে পৌঁছে যাচ্ছেন। তারপরে মুখ্যমন্ত্রীর খবর পাচ্ছেন। এটা কখনোই প্রকাশিত নয়, দুর্ভাগ্যজনক। সাতটি জেলাকে সামনে তুলে নিয়ে প্রত্যেকটি জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি কি অনুসন্ধান করবেন! কি তাদের উদ্দেশ্য? রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই দল পাঠানো উচিত ছিল। এই পরিদর্শন যদি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে হত, তাহলে সবটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারত।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বাইরে নয়। সেদিক থেকে মহামারীর সময় যদি কেন্দ্রীয় সরকার চায়, তাহলে তারা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাতেই পারে‌। এক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে এই ধরনের অভিযোগ কি সত্যিই কাম্য? এক্ষেত্রে কি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বোঝাপড়া করে একসাথে করোনাকে মোকাবিলা করা যেত না? ইগোটাই কি এক্ষেত্রে সবথেকে বড় হল! প্রশ্নটা উঠছে বিভিন্ন মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!