এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > চব্বিশের দিল্লীর আগে ত্রিপুরা জয় এখন পাখির চোখ তৃণমূলের, ধীরে ধীরে এগোচ্ছে লড়াই

চব্বিশের দিল্লীর আগে ত্রিপুরা জয় এখন পাখির চোখ তৃণমূলের, ধীরে ধীরে এগোচ্ছে লড়াই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 24 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের লক্ষ্য বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের সংগঠন বাড়ানো। আর সেই জায়গায় তৃণমূলের প্রথম লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা। ত্রিপুরায় বর্তমানে বিজেপি শাসন। কিন্তু আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ফেলতে এবার উঠে পড়ে লেগেছে ঘাসফুল শিবির। কিছুদিন ধরেই ত্রিপুরায় আইপ্যাকের কর্মীরা সমীক্ষা চালাতে গিয়ে আটক হয় বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশের হাতে। আর তাই নিয়ে চলে তীব্র চাপানউতোর। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরাজ্যের তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারাও পৌঁছে গিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই ত্রিপুরা যেতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু তার আগেই ত্রিপুরার যুবদের মন পেতে এ রাজ্যের যুবনেতা নেত্রীরা আসরে নামছেন। কার্যত রাজ্যের যুব তৃণমূল নেতা নেত্রীদের মধ্যে দেবাংশু, জয়া, সুদীপ পৌঁছে গিয়েছেন ত্রিপুরায়। এবং তাঁদের আগমনে আগরতলা স্টেশন থেকেই বাজতে শুরু করেছে খেলা হবে। বোঝাই যাচ্ছে, ত্রিপুরায় যুবদের টার্গেট করে এগোনো চলছে। আর সেক্ষেত্রে যুবদের চাহিদা হাতিয়ার হয়ে উঠছে তৃণমূলের কাছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কার্যত জানা যাচ্ছে, 2018 সালে বিপ্লব দেব সরকার গঠনের পরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যে শিল্প আসার। কিন্তু সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শিল্পের নাম ও নিশান পাওয়া যায়নি রাজ্যজুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একই সাথে পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে আসছে। আর এই অভিযোগ এবং ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই এগোতে চাইছে তৃণমূল। কার্যত ত্রিপুরায় শিল্প, কর্মসংস্থান, উচ্চ শিক্ষা, সরকারী নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় রাবার চাষের ক্ষেত্রেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে এলাকার উচ্চশিক্ষিতদের প্রকাশ থেকে জানা যাচ্ছে ত্রিপুরা সরকার নিজে থেকে কোন শিল্প আনার চেষ্টা করেনা। কার্যত বিপ্লব দেব সরকারের কাছে আশা অনেকটাই ছিল, কিন্তু কোনটাই সফল হয়নি বলে দাবী রাজ্যের যুবাদের। শিল্প না আসলে কর্মসংস্থান হচ্ছেনা, ফলে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।

এমনকি নিজস্ব শিল্পের ক্ষেত্রেও সরকারি সাহায্য মেলেনা বলে শোনা যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো না থাকায় বাইরে চলে যেতে হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরা। একই সাথে সরকারি চাকরির অভাব তুঙ্গে উঠেছে। আর ত্রিপুরার এই বিশাল চাহিদা ও ক্ষোভ নিয়ে এবার আসরে নামছে তৃণমূল। কার্যত এই প্রতিটি বিষয়কে জনমানসের সামনে তুলে ধরে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রচার চালাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তার সঙ্গেই চলবে তৃণমূলের সাংগঠনিক প্রসার। আপাতত দেখার, 2023 এর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে বাংলার মতন তৃণমূল ধরাশায়ী করতে পারে কিনা! পাশাপাশি লক্ষ্যণীয় তৃণমূলের যুব নেতা নেত্রীরা ত্রিপুরায় কতটা চাঞ্চল্য তৈরী করতে পারেন।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!