এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে, অস্বস্তি বাড়ছে বিরোধী দলনেতার

চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে, অস্বস্তি বাড়ছে বিরোধী দলনেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেচ দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল রাখাল বেরার বিরুদ্ধে। এরপর গত ৫ ই জুন তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার, আবার তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তাকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গতকাল রাখাল বেরাকে কাঁথির মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আবার চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৯ ই জুন তাঁর বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের ইঞ্চির বাসিন্দা মিজানুর আলি। তাঁর অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী যখন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ছিলেন, সেসময় পরিবহন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা ও চঞ্চল নন্দী তাঁর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মিজানুর আলি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে তাকে কন্ডাক্টারের চাকরি দেওয়ার নাম করে তারা ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। যার মধ্যে ৬ লক্ষ টাকা মিটিয়েছিলেন তিনি। মা, স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে, বাবার ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে কোনরকমে ৬ লক্ষ টাকা জোগাড় করে তিনি কাঁথি পুরসভাতে গিয়ে চঞ্চল নন্দীর কাছে তা জমা দেন। এ সময় তাকে জানানো হয়েছিল যে, চাকরি পাবার পর বাকি টাকা দিতে হবে। তাকে পুজোর সময়ে কন্ডাক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হবে।

কিন্তু তা হয়নি। এরপর নভেম্বর মাসে পরিবহন দপ্তর থেকে অব্যাহতি নেন শুভেন্দু অধিকারী, এরপর তৃণমূল ছেড়ে দেন তিনি। এরপর রাখাল বেরা, চঞ্চল নন্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন মিজানুর আলি। তখন তারা জানান যে, শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী হলে আরো ভালো জায়গায় তাকে চাকরি দেওয়া হবে। এরপর ভোটের ফলাফল বেরিয়ে যাবার পর মিজানুর আলি আবার যোগাযোগ করেন তাদের সঙ্গে। তখন তারা জানান যে, ২৭ সে মে’র মধ্যে সমস্ত টাকা তার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে।

কিন্তু, এরপরও তিনি টাকা ফেরত পান নি। অবশেষে গত ৯ ই জুন কাঁথি থানাতে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন মিজানুর আলি। শুভেন্দু অধিকারীর দুই ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠায়, যথেষ্ট অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার, এমনটাই মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এবার পুলিশের তদন্তে কি কি তথ্য বেরিয়ে আসে? সে দিকে লক্ষ্য রয়েছে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!