এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > চালু হচ্ছে বিশেষ ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প, মিলবে ২ বছর ইন্টার্নশিপের সুযোগ – ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

চালু হচ্ছে বিশেষ ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প, মিলবে ২ বছর ইন্টার্নশিপের সুযোগ – ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য উপস্থিত আছেন। 2019 এর লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে মুছে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও লোকসভা ভোটের সময় বারংবার তৃণমূল কংগ্রেস উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ভোটের প্রচার করেছিলেন উত্তরবঙ্গে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গ মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল সরকারের থেকে। শাসক শিবির একেবারে পেছনের সারিতে চলে যায় উত্তর বঙ্গে। এবার আবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের জন্য বিশেষ নজর দিচ্ছেন। আর এই উপলক্ষে এবার উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সুযোগ আনলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবেন দু’বছরের জন্য। এবার থেকে চালু হচ্ছে রাজ্যের বিশেষ ফ্লাগশিপ প্রকল্প। শিলিগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। আর তারপরেই বিরোধী শিবিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন পদ খালি থাকায় পরীক্ষার মাধ্যমে তা পূরণ করতে গেলে প্রচুর সময় যাবে, আর তার ফলে প্রচুর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ থেমে থাকবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ চান। এই দুই চাহিদাকে একই বিন্দুতে মেলাতে চেয়েছেন এবার মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজ্যে চালু হতে চলেছে বিশেষ ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। বিশ্ববিদ্যালয় ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়াদের বিভিন্ন দপ্তরে ইন্টার্ন হিসেবে কাজে লাগাতে চলেছে রাজ্য সরকার। শিলিগুড়ি প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই এ সম্পর্কে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে মুখ্যসচিবকে প্রকল্প নিয়ে খোঁজ নিতে বলেছেন তিনি। তবে বিরোধী শিবির বিজেপির গলায় সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতার সুর। বিজেপি রাজ্য সম্পাদক রাহুল সিনহা এ ব্যাপারে বলেন, ‘সবই ভাঁওতাবাজি মমতার। শিল্প নেই, চাকরি নেই রাজ্যে। দুবছরের জন্য মেধাকে কিনতে চাইছেন। এভাবে মেধাকে অপমান করছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের গলায় খুশির সুর। পড়তে পড়তে সরকারি জায়গায় কাজের সুযোগে তাঁরা দারুণ খুশি।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পড়ুয়ারাও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানের উপাচার্য সব কথা আচার্যকে বললে কি করে হবে? টাকাটা রাজ্য সরকার দেয়। শিক্ষাদপ্তর কে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন না?’

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার এই রাজ্যে বিরোধীদল শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ সহযোগে জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জনমোহিনী কর্মসূচি নিচ্ছেন, যা পুরোটাই ভ্রান্ত। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মেধার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন তিনি।

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, যদি এইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা কাজের সুযোগ পান, তাহলে প্রকল্পের কাজও এগোবে এবং পড়ুয়ারাও তাঁদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে। আপাতত সমগ্র পরিকল্পনা কতদিনে বাস্তবায়িত হয়, সেদিকে নজর রাখছে রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!