এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > চন্দ্রবাবু নাইডুর ডাকা বিজেপি বিরোধী বৈঠকে নাও থাকতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জোর জল্পনা রাজ্যে

চন্দ্রবাবু নাইডুর ডাকা বিজেপি বিরোধী বৈঠকে নাও থাকতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জোর জল্পনা রাজ্যে


লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরানোর জন্য উদগ্রীব তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের সমস্ত বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করেছিলেন। সেইমতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফর্মুলাকে মান্যতা দিয়ে যে দল যেখানে শক্তিশালী, সেখানে তারাই বিজেপিকে ঠেকাতে লড়াই করেছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিরোধী মহাজোটের চিন্তাভাবনা ব্যর্থও হয়েছে।

এমতাবস্থায় নির্বাচনী প্রচারে বারে বারেই কেন্দ্রে এবার কোনো মতেই বিজেপি সরকার আসছে না। সমস্ত বিরোধী আঞ্চলিক শক্তি মিলেই কেন্দ্রে তৃতীয় মহাজোটের সরকার গঠন করবে বলে দাবি করতে শোনা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর দলের তরফ থেকে বার বার প্রচারে বলা হয়েছে যে এবার কেন্দ্রে তৃণমূল সরকার গঠন করবে। প্রধানমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীও প্রচারে গিয়ে দাবি করেছেন যে তৃণমূল কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে বড় ভূমিকা নেবে।

তবে গত রবিবার সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনের পরই একের পর এক বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা তাদের সমীক্ষা প্রকাশ্যে আনতে শুরু করে। যেখানে দেখা যায় যে ফের কেন্দ্রে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে এনডিএ সরকার। আর এরপরই বিভিন্ন মহলে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয়। যদিও বা এই সমীক্ষাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে গোটা ঘটনাকে বিজেপির চক্রান্ত বলে আখ্যা দেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ফলাফল প্রকাশের আগে নিজেদের মধ্যে ঠিকঠাক সমঝোতা করে নিয়ে যাতে কেন্দ্রে তৃতীয় মহাজোটের সরকার স্থাপন করা যায় তার জন্য গতকালই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে আসেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু।

সূত্রের খবর, প্রায় 45 মিনিট ধরে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়। তবে বৈঠকের শেষে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেনি কোনো পক্ষই। এদিকে আজ দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে খুব সম্ভবত উপস্থিত থাকছেন না তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূলের তরফে কোনো একজন প্রতিনিধিকে তিনি এই বৈঠকে পাঠাবেন বলে জানা গেছে। আর বিরোধী দলের এই বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপস্থিত থাকা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা।

বিজেপির দাবি, আসলে কমবেশি প্রায় প্রতিটা এক্সিট পোলেই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এবার ফের কেন্দ্রে এনডিএ সরকার আসতে চলেছে এবং প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। আর তাই সেই কথা বুঝতে পেরেই এখন ফলাফল প্রকাশের আগে কোনো রকম রিক্স নিতে চাইছেন না তৃণমূল নেত্রী। আর তাইতো বিরোধী মহাজোটের বৈঠকে নিজে না গিয়ে উল্টে এক প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে দায় সারতে চাইছেন তিনি। তবে তৃণমূল অবশ্য এই দাবিকে মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য,এবার কেন্দ্রে তৃতীয় মহাজোটের সরকারই প্রতিষ্ঠিত হবে। আর গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন নেত্রী।

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, যেখানে ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে কেন্দ্রে তৃতীয় মহাজোটের সরকার হবে বলে ঢালাও প্রচার করতে দেখা গেছে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, সেখানে ফলাফল তাদের পক্ষে যাবে বলে যদি অতই আত্মবিশ্বাসী হন তৃণমূল নেত্রী, তাহলে কেন তিনি সেই বিরোধী জোটের বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে সামান্য এক প্রতিনিধিকে পাঠাচ্ছেন? তাহলে কি তার কাছে বিরোধী মহাজোটের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ নয়! নাকি ভোটের ফলাফল বেগতিক হতে পারে তা বুঝে শুনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন পদক্ষেপ! এইসব প্রশ্নকে ঘিরেই এবার জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!