প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সকাল থেকেই তিনি লক্ষ্য করেছেন, কিভাবে রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাপ্পা হয়েছে। নজর রেখেছিলেন, কমিশনের অপরিপক্ক মনোভাবের দিকেও। উত্তর থেকে দক্ষিন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধে ছাপ্পার বিষয় সামনে এসেছে। তবে ছাপ্পা করে যদি তৃণমূল জিতে যাবে বলে ভেবে নেয়, তাহলে তারা ভুল করবে। কারণ রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতার নাম শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে যে সমস্ত জায়গায় ছাপ্পা হয়েছে, সেখানে অবিলম্বে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নির্বাচন বাতিল করে আবার নির্বাচন করতে হবে বলে দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার পরেই সন্ধ্যেবেলা নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, তিনি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, যে সমস্ত জায়গায় ছাপ্পা ভোট হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজে তা উঠে এসেছে, সেগুলো সব দেখে সেই সমস্ত জায়গার নির্বাচন করতে হবে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে সেই সংশ্লিষ্ট জায়গা গুলোতে সোমবার অথবা গণনার দিন পিছিয়ে দিয়ে মঙ্গলবার সেই আবার নির্বাচন করাতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শাসক দল অনেক বড়াই করেছিল, এবার নাকি সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লেশমাত্রও দেখা যায়নি পঞ্চায়েতে। নির্লজ্জের মত বিভিন্ন জায়গায় ছাপ্পার দৃশ্য সামনে এসেছে। স্বভাবতই এতকিছুর পরেও নিজেদের জয় নিয়ে আত্মপ্রত্যয়ী তৃনমূল কংগ্রেস‌। কারণ তারা জানে, তাদের নেতাকর্মীরা ব্যাপক ছাপ্পা করেই এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করবে। তবে তৃণমূল ভেবে নিয়েছিল, বিরোধীরা আর কিছু করতে পারবে না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কমিশনের দপ্তরে গিয়ে যে সমস্ত জায়গায় ছাপ্পা হয়েছে, সেখানে আবার নির্বাচন করাতে হবে বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

তবে এই দাবি যদি নির্বাচন কমিশন না মানে, নিজেদের মতো করেই গণতন্ত্রকে পরিচালিত করতে শুরু করেন নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনার, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী যে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাই চাপে পড়েই যে সমস্ত জায়গায় ছাপ্পা ভোট হয়েছে এবং গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে, সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর দাবিকে মান্যতা দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।