প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে যখন নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক মন্ত্রী এবং বিধায়ককে, ঠিক তখনই সক্রিয় হতে শুরু করে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। যেখানে নারদ কান্ডে গ্রেপ্তারের পরই ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিআইডির পক্ষ থেকে। যেখানে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হেভিওয়েট এই বিজেপি সাংসদকে তলব করা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার সেই সিআইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই হাজিরা এড়িয়ে গেলেন তিনি।

স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। কেন এই হাজিরা এড়িয়ে গেলেন বিজেপি সাংসদ, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সিআইডি দপ্তরে হাজিরা দেননি অর্জুন সিংহ। তবে সিআইডির কাছে হাজিরা না দেওয়ার কারণে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ।

বস্তুত, ভাটপাড়া-নৈহাটি সমবায় ব্যাংকের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে। মাঝে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়। আর সম্প্রতি নারদ কান্ডে সিবিআই সক্রিয় হতে না হতেই পাল্টা অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ করে তার বাড়িতে একটি নোটিশ পৌঁছে দেয় সিআইডি।

যার ফলে আজকে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল বিজেপি সাংসদ দুর্জন সিংহের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই হাজিরা এড়িয়ে গেলেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে অর্জুন সিংহ বলেন, “আমি গতকাল সিআইডির তদন্তকারী অফিসারকে জানিয়ে দিয়েছি, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমি আজ ভবানীভবনে যেতে পারব না। যদি ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আমি তাতে অংশ নিতে রাজি।”

বস্তুত, সিবিআই সক্রিয় হতেই যেভাবে সিআইডি সক্রিয় হয়েছে, তাতে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি থাকলেও ভার্চুয়ালি তাকে জেরা করার ব্যবস্থা করা হোক বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন অর্জুন সিংহ। তবে শেষ পর্যন্ত সিআইডির পক্ষ থেকে তাকে তলব করা হলেও তিনি সেখানে উপস্থিত হন কিনা, তার দিকে নজর ছিল সকলের।

অবশেষে সেই হাজিরা সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গেলেন বিজেপি সাংসদ। যেখানে করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে ভবানীভবনে উপস্থিত হলেন না তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।