এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের পাশে থেকেই পথ চলবে বিজেপি? নাড্ডার বার্তায় জল্পনা তুঙ্গে!

তৃণমূলের পাশে থেকেই পথ চলবে বিজেপি? নাড্ডার বার্তায় জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   ক্ষমতা দখলের টার্গেট নিয়েও তা পূরণ হয়নি। তবে 77 টি আসন দখল করে রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে গেরুয়া শিবির। আর বিরোধী আসনে বসার পর থেকেই রাজ্যের হিংসা থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা, বিভিন্ন বিষয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করেছে বিজেপি। তবে সব বিষয়ে যদি রাজ্য সরকারের ক্রমাগত বিরোধিতা করে যাওয়া হয়, তাহলে গঠনগত বিরোধী দলের ভূমিকা যে বিজেপি পালন করছে না, সেই ব্যাপারে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে।

তাই এবার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস যখন আবহাওয়া দপ্তর থেকে পাওয়া গেছে, ঠিক তখনই রাজ্য বিজেপিকে বড় বার্তা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূলের বিরোধীতা করা হলেও, এক্ষেত্রে দুর্যোগের সময় যাতে বিরোধিতা না করে সমন্বয়ে রক্ষা করে সকলে চলেন, তার জন্য দলের নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের বার্তা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ সব সময় বিরোধিতা করতে গিয়ে বিজেপি যেন মানুষের নজরে খাটো হয়ে না যায়, তার জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই বার্তা বলে মনে করছেন একাংশ।

বস্তুত, করোনা থেকে শুরু করে আম্ফান, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে সাহায্য করে না বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় যখন আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে, ঠিক তখনই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিজেপি রাজ্যের বিরোধী আসনে বসার পর থেকে ক্রমাগত শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন তুললেও, এবার যাতে দুর্যোগের সময় তারা শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা না করে, সেই কৌশল প্রয়োগ করার চেষ্টা করলেন ভারতীয় জনতা পার্টি সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার কারণে রাজ্য বিজেপিকে বার্তা দিয়ে দুর্যোগের সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিলেন জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, এদিন পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, সিকিম এবং আন্দামানের বিজেপি নেতৃত্ব এবং দলীয জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। আর সেখানেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “এই সময় সকলকে মানুষের পাশে থাকতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বিজেপির নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে চলা উচিত। যেখানে রাজ্য সরকার ব্যর্থ হবে, সেখানে দলকে ঘাটতি পূরণে এগিয়ে যেতে হবে। সমস্ত স্তরের জনগণের পাশে দলীয় নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের থাকতে হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলায় বিরোধী আসন দখল করার পর বিজেপির যারা জয়লাভ করেছে, তাদের বিপদের সময় দেখতে পাওয়া যাবে না বলে দাবি করছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের পাহারাদারের ভূমিকা পালন করলেও, দুর্যোগের সময় যদি বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের দেখা না যায়, তাহলে গেরুয়া শিবির আরও রাজ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়বে।

তাই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা না করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে দুর্যোগের সময় অভিযোগ না করে যাতে মানুষের পাশে থেকে দলকে আরও গ্রহণযোগ্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্যেই গঠনগত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করার নির্দেশ রাজ্য নেতৃত্বকে দিলেন জেপি নাড্ডা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা বিজেপির পক্ষে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ফল হবে বলেই দাবি পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!