এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগেই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ

মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগেই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ

 

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলই তাঁর কাল হয়েছিল। যার পরবর্তীকালে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে জেলায় জেলায় যাতে গোষ্ঠী কোন্দল না হয়, তার জন্য রণনীতি তৈরি করে তৃণমূল। দলের তরফেও এই ব্যাপারে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। যার পরে অনেকে ভেবেছিলেন, হয়ত বা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল থেমে যাবে। কিন্তু নেতারা যে কোন্দল করতেই ব্যস্ত থাকবেন, তা আবার একবার প্রমাণ হয়ে গেল।

জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার বহরমপুরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এনআরসি বিরোধী সভা রয়েছে। যে সভাতে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং ফিরহাদ হাকিমের। আর এনআরসি বিরোধী তৃণমূলের এই সভার পরেই মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে আসার কথা রয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর দলের সর্বময় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী যখন মুর্শিদাবাদে আসছেন, ঠিক তার আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লক্ষ করা গেল।

সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘীর তৃণমূল বিধায়ক সাহার বিরুদ্ধে এবার প্রশ্ন করতে শুরু করল তারই দলের একাংশ। জানা গেছে, সাগরদিঘী পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এবং এবং একাধিক সদস্য ইতিমধ্যেই সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সুব্রতবাবু এই সাগরদিঘী এলাকা থেকে পরপর দুবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রীও হয়েছেন। কিন্তু দলের পুরোনো কর্মীরা প্রয়োজনে ওনাকে কাছে পান না। বেছে বেছে দলের কয়েকজনকে বাছাই করে কাজ করেন। আগামী দিনে এই এলাকা থেকে বহিরাগত কাউকে যাতে দল টিকিট না দেয়, আমরা সেই আবেদন দলের কাছে রাখব।”

তবে শুধু সিরাজুল সাহেবই নয়, এদিন পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আলি মর্তুজা বলেন, “আমাদের বিধায়ক কেবল ভোটের সময় প্রয়োজন পড়লেই এখানে আসেন। বাকি সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পর্যন্ত সেইভাবে দেখা করেন না। আমরা প্রয়োজনে মঙ্গলবার বহরপুর বিরোধী দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে এই সমস্ত অভিযোগ পরিষ্কারভাবে তুলে ধরব।” যদিও বা এই ব্যাপারে অন্য সুর শোনা যাচ্ছে সুব্রতবাবুর গলায়।

এদিন তিনি বলেন, “দলে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা বিরোধিতা নেই। যারা এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, দল তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।” বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমবে বলে একাংশ মনে করেছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের আগে যেভাবে দলীয় বিধায়ক সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করলেন দলের একাংশ, তাতে তৃণমূলের বিড়ম্বনা অনেকটাই বাড়বে বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!