এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করলেও এবার কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বড়োসড়ো পদক্ষেপ মমতার

কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করলেও এবার কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বড়োসড়ো পদক্ষেপ মমতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে কৃষি আন্দোলন এই মুহূর্তে চরমে উঠেছে। বেশ কিছুদিন আগে তিনটি কৃষি আইন চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই তিনটি কৃষি আইন কৃষকদের পক্ষে উপযুক্ত নয় বলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে বসে একনাগাড়ে করে চলেছেন অবস্থান-বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের প্রায় সব বিরোধী দলের নেতারা। পাশাপাশি দিল্লীর কৃষক আন্দোলনের আঁচ ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজস্থান, পাঞ্জাব, কেরালাসহ বেশকিছু রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনকে বাতিল করেছে। এদিকে দিল্লির কৃষকদের পাশে ইতিমধ্যেই দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের প্রতিনিধিদের কৃষকদের বিক্ষোভস্থলে পাঠিয়ে কৃষক আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কথা বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে এইবার এ রাজ্যেও কৃষি আইন না মানা নিয়ে প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, চলতি মাসের 27 এবং 28 শে জানুয়ারি বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হচ্ছে। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে বিজেপি ছাড়া অন্যান্য বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীকে ক্রমাগত চিঠি দিয়ে অধিবেশনে বসার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি আইন বাতিলের জন্য পরিষদীয় মন্ত্রীর মাধ্যমে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দুদিনের বিধানসভার অধিবেশনের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিল করার প্রস্তাব আনা হবে। অন্যদিকে কৃষি আইনের বিরোধিতা করার প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই বিধানসভায় সর্বসম্মত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কৃষি বিরোধী তিনটি আইন প্রত্যাহারের জন্য সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব আনার কথা ভাবা হচ্ছে আর তাই বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হবে। যদিও বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস সহমত পোষণ করলেও প্রকাশ্যে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান কিন্তু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের প্রস্তাব আগে বিবেচনা করে দেখা হবে তারপর সর্বসম্মতভাবে মত দেওয়া হবৎ।

কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতা করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু দীর্ঘদিন পর এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্প চালু করতে চেয়েছেন। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যেই কেন্দ্র-রাজ্য চিঠি চালাচালি হচ্ছে। এই প্রকল্প দীর্ঘদিন চালু না করা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গেরুয়া শিবিরের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। রাজ্যের কৃষকদের কিছু বেশী টাকা পাবার স্বার্থে কেন্দ্রীয় কিষাণ নিধি প্রকল্প চালু করে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত এক কদম পিছিয়ে যান। যথারীতি এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে দীর্ঘদিন পর চালু হওয়া নিয়ে গেরুয়া শিবির কম কটাক্ষ করেনি মুখ্যমন্ত্রীকে।

কিন্তু তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতার প্রস্তাব আনার কথা বলতেই কার্যত এ রাজ্যের গেরুয়া শিবির কিছুটা কোণঠাসা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল যে কৃষি আইনকে হাতিয়ার করে নিতে চলেছে, তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার। সেক্ষেত্রে রাজ্যের কৃষকদের কাছে টানার বন্দোবস্ত করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!