এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চাই না, কিন্তু মানুষের স্বার্থে কখনও কঠোর হতেই হয়: মুখ্যমন্ত্রী

কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চাই না, কিন্তু মানুষের স্বার্থে কখনও কঠোর হতেই হয়: মুখ্যমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই বাস পরিষেবা শুরু হতে শুরু হয়। কিন্তু বাস্তবে পরিষেবা চালু হলেও বাস চালাতে সম্মতি নেই অধিকাংশ বেসরকারি বাস মালিকদের। তাদের মূল আপত্তির প্রশ্ন, সঠিক পরিমাণে যাত্রী না হলে এবং ভাড়া বৃদ্ধি না হলে তাদের বাস চালাতে অনেকটাই সমস্যা হবে। যার ফলে এই সমস্ত বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু করতে অনেকেই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে।

তবে অবশেষে এই ব্যাপারে বেসরকারি বাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা বাস মালিক সংগঠনগুলোকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই 26 জুন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বুধবার থেকে পর্যাপ্ত বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস যদি রাস্তায় না নামে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ রাজ্য সরকার চাইছে, এক্ষেত্রে কোনো রকমের বাহানা যেন না হয়। কেননা এমনিতেই এতদিন লকডাউনের কারণে পরিষেবা বন্ধ ছিল।

ফলে এখন বাস পরিষেবা রাস্তায় নামানোর কথা বলা হলেও, ভাড়া না বাড়ানোর কারণে যেভাবে বেসরকারি বাস মালিকরা আপত্তি জানাতে শুরু করেছেন, তাতে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ছিল। কিন্তু এবার এই ব্যাপারে কার্যত নিজেদের কড়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বারবার আলোচনা করেছি। নরম মনোভাব নিয়ে ডেকে কথা বলেছি, অনুরোধও করেছি। কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। কিন্তু মানুষের স্বার্থে কখনও কঠোর হতেই হয়। 1 জুলাই দেখব, তার পর থেকে 3 জুলাই থেকে বেসরকারি তুলে নেবে সরকার।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই বেসরকারি বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আশা করব, তারা কথা রাখবেন। তা না হলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকার দায়ী থাকবে না। দায় বর্তায় যারা এসে বৈঠক করে গিয়েছেন, তাদের ওপর।” অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর এই কথাতেই পরিস্কার, বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু করতেই এই কড়া বার্তা দিয়ে সেই বাস রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করলেন তিনি। তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর তারা এবার বাস নিয়ে রাস্তায় নামবেন? এদিন বাস ও মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “27 মে থেকে আমাদের বাস রাস্তায় চলছে। যে যেমন পারছেন চালাচ্ছেন।”

একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, “তবে সরকারি অনুদানের ঘোষনার পর থেকে কিছু জায়গায় বিভ্রান্তিকর প্রচারে বলা হয়েছে বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ। তাতেই বাসের সংখ্যা কমেছে। তবে পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই ঠিক হবে। তবে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের স্বার্থের কথা তুলে ধরে বেসরকারি বাস মালিকদের বাস নামানোর কথা বলেছেন। কেননা বাস যদি এভাবে রাস্তায় না নামে, তাহলে সরকার যেমন অসুবিধায় পড়বে, ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা। বাস রাস্তায় না নামলে সম্পূর্ণরূপে বিঘ্নিত হবে পরিষেবা।

আর এমতাবস্থায় বেসরকারি বাস মালিকরা বাস রাস্তায় নামানোর ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। তারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, একদিকে মেট্রো, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, তাঁর মধ্যে বাসের ভাড়া না বাড়ায় সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত বাস মালিকদের দিক তুলে ধরলেও, যাত্রী পরিষেবা যে বিঘ্নিত করা যাবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বেসরকারি বাস মালিকরা যদি রাস্তায় বাস নিয়ে না নামে, তাহলে শাস্তির কথাও শোনালেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর বাস মালিকরা কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!