এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সংগঠনে বদল আনতেই ভেঙে তছনছ সব কমিটি! বিদ্রোহীদের মান ভাঙাতে আসরে হেভিওয়েট মন্ত্রী

সংগঠনে বদল আনতেই ভেঙে তছনছ সব কমিটি! বিদ্রোহীদের মান ভাঙাতে আসরে হেভিওয়েট মন্ত্রী

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল পর্যুদস্ত হওয়ার পর বিভিন্ন জেলার সংগঠনের পরিবর্তন আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে জেলা সভাপতি পদে তৃণমূল নেত্রী বদল আনলে বিভিন্ন জেলার সংগঠনে নতুন মুখদের দেখতে পাওয়া যায়। যার ফলে দলের অন্দরে তৈরি হয় বিভ্রান্তি।

সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন কিষাণ কুমার কল্যাণী। আর দায়িত্ব পাওয়ার পরই জেলার সবকটি ব্লক কমিটি ভেঙে দিয়েছেন তিনি। আর জেলা সভাপতির এই পদক্ষেপকে এখন ঠিকমত মানতে পারছেন না একাংশ।

যার ফলে জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছে। পদ থেকে সরে যাওয়া নেতারা এটাকে একতরফা বলে ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। জানা যায়, কিষাণ কুমার কল্যাণীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পরই তিনি বিভিন্ন ব্লক কমিটি ভেঙে দেন। তার রোষে পড়েন জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় 12 জন ব্লক সভাপতি।

আর এর পরেই বিদ্রোহীরা সরব হওয়ায় তারা দল ছেড়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। আর তাই সেই বিদ্রোহীদের মান ভাঙাতে এবার পথে নামতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেবকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পদ চলে যাওয়া সেই সমস্ত বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে শিলিগুড়িতে একটি বৈঠক করে তাদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন গৌতমবাবু।

এদিকে মন্ত্রীর কাছে তাদের সকলের অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন সেই পদ থেকে সরে যাওয়া তৃণমূল নেতারা। তবে এদিনের এই বৈঠক তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতারা থাকলেও সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণীকে। কিন্তু গৌতম দেবের সঙ্গে আলোচনা করে কি সমস্যা মিটল!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে এক ব্লক সভাপতি বলেন, “আমাদের সঙ্গে কোনোরূপ আলোচনা না করেই যেভাবে কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে হয়ত ক্ষোভ থাকত না। কিন্তু জেলা সভাপতি যেভাবে সকলকে সরিয়ে দিয়ে নিজের পছন্দের লোককে দায়িত্ব দিতে চাইছেন, তা হতে পারে না। সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে গৌতমবাবু আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছি।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলার নেতারা আমার কাছে এসেছিলেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে মানুষের সঙ্গে সকলকে থাকতে বলেছি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির সাথে বৈঠক করব।”

তবে দায়িত্ব পেয়ে তিনি যে ব্লক সভাপতি থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন, তারা গৌতম দেবের দ্বারস্থ হওয়ায় কি তিনি কিছুটা অস্বস্থিতে পড়লেন! এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেই আহবায়কদের নামের তালিকা কলকাতায় পাঠিয়েছি। কেউ কেউ হয়ত সুবিধা করতে পারবে না বলেই বিদ্রোহী হয়ে উঠছে। সময় সব কথা বলবে।”

সব মিলিয়ে এবার ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় বিদ্রোহী নেতা কর্মীদের মান ভাঙ্গাতে তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ভাঙন রোখার চেষ্টা করলেন গৌতম দেব। তবে শেষ পর্যন্ত গৌতমবাবুর সেই চেষ্টা সফলতা পায় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!