কর্মীদের মনোবল বাড়াতে বাংলাতেও বিজয় বিজয় উৎসবের ডাক কংগ্রেসের, পরিস্থিতি বদলাবে কি বাংলায়? জাতীয় রাজ্য December 12, 2018 পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ কংগ্রেস। এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলের ছবি পরিষ্কারভাবে উঠে আসে। রাজস্থান,ছত্তিশগড়,মিজেরামে বিজেপিকে ভালোমতোই টেক্কা দিয়েছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস-বিজেপির সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির ভিত নড়াতে পেরে খুশির হাওয়া এখন হাত শিবিরে। উৎসবের মেজাজে ভাসছে হিন্দিবলয়ের কংগ্রেস কর্মীরা। উচ্ছ্বাস কোনো অংশে কম নেই বঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস শিবিরেও। কংগ্রেসের এই বৃহত্তর জয়ের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ধর্মতলায় দলীয় সমাবেশে বিজয় উৎসব করার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এটি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির একটি কৌশল বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিন বিধান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে সোমন বাবু জানান,এ জয় কেবল ওই রাজ্যগুলোর নয়। গোটা দেশের কংগ্রেস কর্মীদের জয় এটি। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে জোরদার ধাক্কা দেওয়া সম্ভব। এই জয় আগামী লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের উত্তরণের সোপান হবে বলেও মনে করছেন তিনি। গোটা দেশ এই জয়ের উৎসবে মেতেছে। তাই বাংলাও পিছিয়ে থাকবে না। ধর্মতলা চত্বরে এই জয়কে উদযাপন করতে দলীয় সমাবেশে বিজয় উৎসব করবে প্রদেশ কংগ্রেস। সোমেন বাবুর কথায় সম্মতি প্রকাশ করে সম্মেলনে উপস্থিত প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান,ফ্রন্টফুটে খেলে বিধানসভা ভোটে জয় হাসিল করে লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়ে দিল কংগ্রেস। আগামী লোকসভা ভোটে বাংলায় আশানুরূপ ফল করবে কংগ্রেস,এমনটাই বক্তব্যে জানালেন তিনি। উল্লেখ্য,তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধাপে ধাপে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূল আর বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে ম্লান হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। আগামী লোকসভা নির্বাচনের লড়াই বিজেপি বনাম বিরোধীদের মধ্যে হলে বাংলায় কিন্তু কার্যত সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে তৃণমূল এবং বিজেপির। এ রাজ্যে কংগ্রেস এখনো শক্তিতে তৃণমূল, বিজেপির থেকে অনেক পিছিয়ে এমনটাই বিগত নির্বাচনী ফলাফলের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। বিশেষত গোষ্ঠী কোন্দলই কংগ্রেসের শক্তি হ্রাস করছে ক্রমশও। দলভাঙনের রাজনীতি জাঁতাকলে পড়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে শতাব্দী প্রাচীন এই রাজনৈতিক দল। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব থেকে বিধায়ক,নেতা,কর্মীরা দফায় দফার দল ছেড়েছেন। সে কর্মসূচি এখনো অব্যাহত রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ফলত ক্রমশ শক্তি ক্ষয় হতে হতে সাংগঠনিক ঐক্য তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে এখন। বারবার জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমোর হুঁসিয়ারী সত্ত্বেও ক্ষত সারানো যায়নি প্রদেশ কংগ্রেসের। উপায় না পেয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে অপসারণ করে সোমেন মিত্রকে মাস দুয়েক আগে ক্ষমতায় এনেছেন রাহুল গান্ধী। আশা করা হচ্ছে, অভিজ্ঞ এই নেতা প্রদেশ কংগ্রেসের সংগঠনকে ফের চাঙ্গা করতে পারবেন। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ক্ষমতায় আসার পর দলীয় সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করলেও খুব যে সুফল হয়েছে এমনটা বলা যায় না। এখনো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলত্যাগ করছেন কংগ্রেসের সৈনিকরা। এই প্রেক্ষিতে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের তিনটিতেই কংগ্রেসের নজরকাড়া সাফল্য গোটা দেশের পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস আত্মবিশ্বাস বহুগুন বাড়িয়ে দিল। আর এই জয়ের আনন্দ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই বিজয় উৎসবের সিদ্ধান্ত নিলেন সোমেন মিত্র। লোকসভা ভোটের আগে দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করতে এটি টনিকের মতো কাজ করবে বলেই আশা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। আপনার মতামত জানান -