হেভিওয়েট কংগ্রেস বিধায়ক একযোগে মাত দিলেন মোদী- মমতাকে! পরিযায়ীদের জন্য যা করলেন জানলে চমকাবেন কংগ্রেস কলকাতা তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বিজেপি রাজ্য September 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:- করোনা ভাইরাসকে আটকাতে হঠাৎ করেই মার্চ মাসে লকডাউনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তারপরেই প্রবল সমস্যায় মুখে পড়েছিলেন ভিন রাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা। রাজ্যে আস্তে না পেরে একদিকে যেমন নিজের পরিবার পরিজনদের দুঃখ-দুর্দশা মেটাতে পারছিলেন না তারা, ঠিক তেমনই অন্য রাজ্য থেকে তাদের কোনরূপ অর্থনৈতিক সুবিধা মিলছিল না। যার ফলে দ্রুত যাতে তারা ঘরে ফেরেন, তার জন্য রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ব্যাপারে দুই সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি বলে নানা মহলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বড় মহানুভবতার পরিচয় দিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, যদি 25 হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক কোনো জেলায় থাকে, তাহলে সেই জেলা গরিব কল্যান যোজনার অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে এই তালিকায় পুরুলিয়ার নাম না থাকায় হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। অবশেষে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে পরিযায়ীদের অধিকার ফেরালেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন পুরুলিয়াকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে জেলাশাসককে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য এবং কেন্দ্র কোনো সরকারই সঠিকভাবে এই ব্যাপারে উদ্যোগ না নিলেও, যেভাবে পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য উদ্যোগ নিলেন এবং তাতে হাইকোর্টের সবুজসংকেত পেলেন, তাতে কংগ্রেসের প্রতি এই পরিযায়ী শ্রমিকদের সমর্থন দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় অন্যান্য রাজ্যের নাম থাকলেও, সেখানে বাংলার নাম না থাকায় প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বখম এবং কংগ্রেসের একাধিক নেতা এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর গোটা ব্যাপারটি সেখানেই থেমে যায়। তবে এবার যেভাবে নেপাল মাহাতো হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এই ব্যাপারে জয় ছিনিয়ে আনলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এখন ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পুরুলিয়ার জেলাশাসককে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হলেও, জেলা প্রশাসন কি উদ্যোগ নেয় এবং তা কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -