প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নন্দীগ্রাম বিধানসভার নির্বাচন উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। আর কিছু সময় পরেই প্রচারের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। তাই শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সব পক্ষ। কিছু সময় আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয় যাওয়ার পথে তার গাড়ি লক্ষ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। স্বাভাবিক ভাবেই অতীতের মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার গাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেন কিনা, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই। তবে সেরকম কিছুই করেননি তৃণমূল নেত্রী। তবে শেষ মুহূর্তের প্রচারে টেঙ্গুয়ার জনসভা থেকে এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।

সূত্রের খবর, এদিন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ প্রচারে টেঙ্গুয়ায় উপস্থিত হন। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে তার কনভয় কি ঘিরে যেভাবে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তার বিরোধিতা করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি এদের সাহস দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। একটা সামান্য সৌজন্যতা তো থাকবে। কি সাহস দেখুন, আমার গাড়ি আসছে, আর সেখানে স্লোগান দিতে শুরু করেছে। বিজেপির পচা ধচা, হচা সমস্ত ফ্ল্যাগ নিয়ে। লজ্জা করে না। জয় শ্রীরাম কেন জয় সিয়ারাম কেন বলো না! সীতাকে বাদ দিয়ে দিচ্ছ!”

অর্থাৎ সকলে যে দিকে নজর রাখছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে কিছু বলেন কিনা! অবশেষে তিনি এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন। যেখানে বিজেপিকে কড়া ভাষায় তুলনা করে রীতিমতো শোরগোল তুলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। পর্যবেক্ষকদের মতে, অতীতে লোকসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নৈহাটিতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তার কনভয় উদ্দেশ্য করে কিছু যুবক “জয় শ্রীরাম” স্লোগান দিতে শুরু করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে তাদের “ক্রিমিনাল” বলে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় চর্চা।

বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রামের নাম শুনতে পারছেন না কেন? আর এই পরিস্থিতিতে এবার সরাসরি নন্দীগ্রামে শেষদিনের প্রচারে তাকে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান বলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের দিকে রীতিমত গিয়েছিলেন সকলে। অবশেষে শেষ প্রচারে গিয়ে এই ব্যাপারে মুখ খুলে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তৃণমূল নেত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখন বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।