এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “ভবানীপুরের মানুষ কষ্ট পেয়েছেন” প্রকাশ্য সভায় কেন একথা বললেন মমতা? জেনে নিন!

“ভবানীপুরের মানুষ কষ্ট পেয়েছেন” প্রকাশ্য সভায় কেন একথা বললেন মমতা? জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –প্রতিবার তিনি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করেন। কিন্তু এবার বহু আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন। পরবর্তীতে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের নাম নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছেন। আজ নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন।

ভবানীপুরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। আর দীর্ঘদিনের লড়াই করা কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের লড়াই করায় শুরু হয়েছিল নানা চর্চা। তবে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে প্রচারের শেষ দিনে ভবানীপুরের মানুষ কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রচারের শেষ লগ্নে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, আজ বাসুলিচকের সভা থেকে নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভবানীপুরের মানুষ খুব কষ্ট পেয়েছেন। এবার ওই আসনে প্রার্থী হইনি।” একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ভবানীপুরের মানুষ হয়ত বা তার সেখানে না দাঁড়ানোর কারনে কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ যাতে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, এক্ষেত্রে
নন্দীগ্রামের কথা তুলে ধরে মানুষের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের কথা তুলে ধরে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন। এবারে নন্দীগ্রামে তার পক্ষে জয়লাভ করা কতটা সহজ হবে, তা নিয়ে নানা মহলে সংশয় তৈরি হয়েছে। কেননা প্রতিপক্ষ শিবিরে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিক ভাবেই লড়াই ক্রমশ জমে উঠেছে। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে নন্দীগ্রামে কোনোভাবেই পরাজিত না হয়, সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতেই তিনি ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে এসে দাঁড়িয়েছেন বলে বোঝানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী।

অর্থাৎ নিজের জয় এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে তুলে ধরে নিশ্চিত করার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ভবানীপুরের মানুষের কষ্ট হলেও, সেখানকার মানুষের কথা তুলে ধরে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যাকে কার্যত এক ঢিলে দুই পাখি মারার সমতুল্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!