এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনায় বাধা সামাজিক মেলামেশা। ২১ এর লক্ষে তৃণমূল বিজেপি যুদ্ধ চরমে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়

করোনায় বাধা সামাজিক মেলামেশা। ২১ এর লক্ষে তৃণমূল বিজেপি যুদ্ধ চরমে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়


লকডাউন এর মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সোশ্যাল মিডিয়াতে জমে উঠেছে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক তরজা। করোনা র করুণায় এখন বাইরে বেরিয়ে জমায়েত করে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষেই নিজেদের প্রচার করা সম্ভব না হওয়ায় আরও অনেক কিছুর মতই সোশ্যাল মিডিয়াকে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রচার এর ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সামনের বিধানসভা ভোট কে মাথায় রেখে নিজেদের দলের প্রচার এবং অন্য দলের অপপ্রচার।

করুনার কারণে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ থাকলেও সামাজিক মাধ্যম সর্বদা উন্মুক্ত যে কোন কিছুর প্রচার এর জন্য, আর এই লকডাউন এর মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সোশ্যাল মিডিয়াতে জমে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির রাজনৈতিক তরজা। মূলত করোনার জেরে বাইরে বেরিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়াতে দুই দলের কর্মীদের পোস্ট, পাল্টা পোস্ট এবং কমেন্ট ও পাল্টা কমেন্টের কারণে পরিবেশ এই প্রখর গরমেও আরো গরম হয়ে উঠছে। তাদের এই সামাজিক মাধ্যমের বাদানুবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দুই পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে।

একদিকে বিজেপি যখন নানা গ্রাফিক্স দিয়ে ভিডিও বানিয়ে তৃণমূলকে নিয়ে কটাক্ষ করছে তাদের দলের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তখন বিজেপির বানানো ভিডিও বা অভিযোগ যে মিথ্যা তা প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে বিজেপির পোস্ট করা ভিডিও কে মিথ্যা প্রমাণ করেছে বলেও দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। করোনা মুক্ত সমাজে রাজনৈতিক ময়দানে শাসক ও গেরুয়া শিবিরের যে লড়াই দেশবাসী দেখতে পেতেন তা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য অর্পিতা ঘোষ বলেন, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। আমরা আমাদের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি এখন কোন রাজনীতি না করে কোন রাজনৈতিক রঙ না দেখে সর্বদা সকল মানুষের পাশে থাকতে হবে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি বিজেপি অকারণে রাজনীতি করছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানা কুৎসা ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা যতটা পারছেন সেগুলো মিথ্যা প্রমাণ করছেন।

এদিকে আবার তার উত্তরে বালুরঘাটে সংসদ সদস্য বিজেপির সুকান্ত মজুমদার বলেন তৃণমূল আমাদের জোর করে রাজনীতি করতে বাধ্য করছে। আমাদের আইটি সেল এ এর কর্মীদের মিথ্যে কেস দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। এটাতো শাসক দলের নির্দেশে হচ্ছে। মানুষ খেতে পারছেনা আর এদিকে রেশনের চাল চুরি হচ্ছে। সেইগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের নিয়ে আসার জন্য আমাদের কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত। তিনি আগামীতে জেলার প্রত্যেকটি থানা ঘেরাও করারও কথা বলেন।

লকডাউন এর কারণে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অধিকাংশ গৃহবন্দী। দলীয় কার্যালয় গুলো বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। নেই কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি। তবে শাসকদল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সোশাল মিডিয়াতে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। একদিকে বিজেপি যেমন তৃণমূলের নিন্দা করতে নানা পোস্ট করছে একইভাবে তৃণমূল সেই পোস্টের পাল্টা পোস্ট করছে। এমনকি পোস্টগুলিতে দুই দলের কর্মীরা কমেন্টের মধ্য দিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন। সেই বচসা থানা পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।

শাসকদলের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপির আইটি সেল এর কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চারজন বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ।অন্যদিকে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এর ছবি বিকৃত করে পোস্ট করায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমতকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিজেপির আইটি সেল এর কর্মীরা ঘুরে ঘুরে মানুষের মতামত নিয়ে নানা সমস্যা তুলে ধরে তৃণমূলকে কটাক্ষ করছেন। একইভাবে তৃণমূলের কর্মীরা সেই ভিডিওগুলির পাল্টা ভিডিও তৈরি করছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ভিডিও বিজেপি পোস্ট করেছে। সেখানে ভিডিওগুলি নিয়ে পাল্টা পোস্ট করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে বক্তব্য রাখছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!