এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ইডির মুরোদ শেষ, অভিষেককে জব্দ করতে সুপার অ্যাকশন বিচারপতির!

ইডির মুরোদ শেষ, অভিষেককে জব্দ করতে সুপার অ্যাকশন বিচারপতির!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিকবার জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অসন্তুষ্ট বিরোধীরা। কেন প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে মাঝে সবকিছু বন্ধ থাকলেও, আগামী 13 সেপ্টেম্বর আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। তবে এই তলব কি নিজেদের থেকেই করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? নাকি পেছনে বিচার ব্যবস্থার চাপ রয়েছে! তাই সেই চাপের কাছেই কার্যত নত শিকার করে বাধ্য হয়ে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে ইডিকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব প্রসঙ্গে তেমনটাই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। অর্থাৎ এক কথায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার মুরোদ যে শেষ, বিচারব্যবস্থাই যে এখন সকলের কাছে সব থেকে বড় ভরসা, তা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনায় বিচার ব্যবস্থার কাছে ভর্ৎসিত হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগামী 14 তারিখ শুনানির আগে যেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে অন্তত জেরাটা করা হয়, সেই নির্দেশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়েছেন। ফলে কার্যত বাধ্য হয়েই ইডি সেই শুনানির আগের দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে। কিন্তু কেন নিজে থেকেই সক্রিয় হচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? কেন তাদের এই দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না? সাধারণ মানুষদের মধ্যেও কিন্তু এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার জেরে সমালোচনার শিকার হচ্ছে ইডি। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন, ইডির ভূমিকায় তারা সন্তুষ্ট নয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার চাপে বাধ্য হয়েই ইডি 13 তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে।

একাংশের দাবি, যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে এত বড় বড় দাবি করা হয়, তাদের মুরোদ এখানেই শেষ হয়ে গেল? দুর্নীতি যে হয়েছে, অনিয়ম যে হয়েছে, এটা তো এক কথায় পরিষ্কার। কিন্তু তারপরেও যাদের নাম উঠে আসছে, তাদের ছেড়ে রাখছে ইডি। আর এটাই বিরোধী বলুন, সাধারণ মানুষ বলুন, সকলের কাছেই বড় প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে কি যে সমস্ত রাঘব বোয়ালদের নাম উঠে আসছে, তাদেরকে ভয় পেতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার জন্য নিজে থেকে তারা ডাকতে পারছে না? কোর্ট বাধ্য করছে, তারপর ডাকতে হচ্ছে ইডিকে! প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ডাকাডাকি, জেরা করা, এসব দেখতে দেখতে হাঁপিয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। এবার তারা চাইছেন, পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। বারবার ডাকা হবে, কয়েক ঘন্টা জেরা করে আবার ছেড়ে দেওয়া হবে, এই দৃশ্য আর নয়। এবার অন্তত হাতে হাতকড়া পড়ুক অভিযুক্তদের। স্বাভাবিকভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হয়তো ইডি ডেকেছে, কিন্তু এর পেছনে রয়েছে বিচারপতির সুপার অ্যাকশন। আর সেই অ্যাকশনেই কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তৎপরতা। ফলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, তাদের আর ভরসা নেই ইডির ওপর। এখন বিচার ব্যবস্থা যদি কিছু করতে পারে, সেটাই আশা এবং ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!