এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নুসরত তো গেলেন, পদক্ষেপ হবে কি? সুবিচারের দাবিতে উঠছে আওয়াজ!

নুসরত তো গেলেন, পদক্ষেপ হবে কি? সুবিচারের দাবিতে উঠছে আওয়াজ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-যাবতীয় নাটকের পর অবশেষে যবনিকা পতন। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ইডির দপ্তরে পৌঁছে গেলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী এবং তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান। মূলত, ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করেছিল। আর সেই কারণেই তিনি আজকে জেরায় মুখোমুখি হয়েছেন। সকাল থেকেই সকলের মনে একটা সন্দেহ তৈরি হয়েছিল যে, আদৌ কি নুসরাত জাহান যাবেন! নাকি তিনি গোটা বিষয়কে এড়িয়ে যাবেন! আর যদি তিনি গোটা বিষয়কে এড়িয়ে যান, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে! এই নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে। তবে অবশেষে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে তদন্তে সহযোগিতা না করলে যে আরও বড় বিপদ আসতে পারে, তা হয়তো অনুভব করতে পেরেছেন এই অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান। কিন্তু তাকে কি চা খাইয়ে, আর দুই একটা প্রশ্ন করেই ছেড়ে দেওয়া হবে! যদি অন্যান্যদের মতো নুসরাতদেবীর ক্ষেত্রেও সেই একই পদ্ধতি প্রয়োগ করে ইডি, তাহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এমনিতেই তো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে! ফলে সেই প্রশ্ন আরও বৃদ্ধি পাবে।

প্রসঙ্গত, এই ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ইডির পক্ষ থেকে তৃণমূল সাংসদকে তলব করার পরেই নানা মহলে শোরগোল পড়ে যায়। তিনি কি যাবেন! সেই প্রশ্নের উত্তরে নুসরাত জাহান বলেছিলেন যে, তিনি এখনও গোটা বিষয়টি জানেন না। ব্যস্ত রয়েছেন। কাজের মধ্যে রয়েছেন। বাড়ি ফিরে দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। এখন তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন, এটাই সকলের আশা। কিন্তু নুসরাত জাহানকে যে সমস্ত প্রশ্ন করা হবে, তাতে কি সন্তুষ্ট হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? যদি তিনি উত্তর দিতে না পারেন, তিনি যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকেন, তাহলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু যদি তার প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আর সময় নষ্ট না করে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

অনেকে বলছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু পাচার, কয়লা, একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। তবে তাদের তদন্ত কাউকেই সন্তুষ্ট রাখতে পারছে না। সাধারণ মানুষও বলছেন যে, কি লাভ এই নাটক করে? রোজ রোজ একের পর এক নেতা-নেত্রীদের ডাকা হচ্ছে। কিছুক্ষণ তাদেরকে জেরা করা হচ্ছে। তারপর রাত্রিবেলা তাদের আবার ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে সাধারণ মানুষ যেভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, তাতে অভিযুক্তরা কবে শাস্তি পাবেন? শুধুমাত্র মুখ দেখানো তদন্ত করে কি লাভ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার? জেরা করে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে ছেড়ে দেওয়ার নাটক অনেক হলো। এবার চাই বিচার। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি নুসরাত জাহানের ক্ষেত্রেও এই নাটকটাই করে, তাহলে মানুষের মধ্যে ইডির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগ যে এই নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে রয়েছে। তা তো স্পষ্ট। সেই জন্যই তো তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকেছে। তাই যে সমস্ত মানুষরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তাদের জন্যই বাংলা জুড়ে সুবিচারের আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। সকলের একটাই কথা, হয় ইডি পদক্ষেপ নিক, তা না হলে যে নাটকটা হচ্ছে, সেই নাটকটা শেষ করুক। ফলে নুসরাত জাহানের এই ইডির দপ্তরে পৌঁছে যাওয়া, জেরার মুখোমুখি হওয়া এবং শেষ পর্যন্ত এর পরিনতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!