এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > টাকা থেকেও ছড়াতে পারে করোনা? লকডাউন শিথিল হতেই নতুন চিন্তায় ঘুম উড়েছে ভারতের?

টাকা থেকেও ছড়াতে পারে করোনা? লকডাউন শিথিল হতেই নতুন চিন্তায় ঘুম উড়েছে ভারতের?


করোনা ভাইরাসকে আটকাতে দেখতে দেখতে পঞ্চম দফার লকডাউনে পা দিল ভারতবর্ষ। তবে এই লকডাউন অতীতের মত নয়। এক্ষেত্রে দোকান বাজার এবং পরিবহন ব্যবস্থাকে সচল করে সেই লকডাউনকে অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু এই লকডাউন শিথিল হওয়ায় যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে ভারতে করোনা সংক্রমণের হার। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। তবে সবথেকে উদ্বেগে রয়েছে ব্যবসায়ীরা।

কেননা তাদের হাত দিয়ে টাকা-পয়সার লেনদেন সবথেকে বেশি হয়। তাই সেই টাকার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তারা।

সূত্রের খবর, এদিন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে তারা দাবি করেছেন যে, কারেন্সি নোটের মাধ্যমে এই জীবাণু ছড়াচ্ছে। আর এর মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতি থেকে ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার ব্যাপারে আর্জি জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সিএআইটি জাতীয় সভাপতি বিসি ভারতীয়া এবং সাধারন সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন, “বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দ্রুত হাত বদল হওয়ার কারণে কারেন্সি নোট মারাত্মকভাবে রোগ জীবাণু বহন করে। এজন্য স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে টাকা পয়সাকে রোগ জীবাণু বহনকারী ভয়ানক উপকরণ বলা চলে।”

অর্থাৎ এক হাত থেকে অন্য হাতে নগদ টাকা বদল হওয়ার কারণে কার শরীরে কোন সংক্রমণ আছে এবং সেই সংক্রমণ টাকাতে চলে যাওয়ায় তা অন্যের শরীরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার কারণে এবার ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে এই আবেদন করা হলেও, অনেকে বলছেন, সবার আগে খবরের কাগজ বন্ধ করা উচিত ছিল। কিন্তু তা যখন বন্ধ করা গেল না, তখন টাকার ব্যবহার আদৌ বন্ধ হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সব মিলিয়ে এখন ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের কাছে কাগজের টাকার ব্যাপারে এই আবেদন জমা পড়ায় কেন্দ্র কি সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!