এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > করোনা আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা! জেনে নিন!

করোনা আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা! জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ঝাড়্গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। যেখানে হাসপাতালের চিকিৎসককে চড় মারার অভিযোগ উঠল মৃত যুবকের মায়ের বিরুদ্ধে‌। আর এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আর সেখানেই জ্বর সহ নানা অসুস্থতার কারণে বুধবার সেখানে ভর্তি হন উত্তর বামদা এলাকার বাসিন্দা সত্যনারায়ণ দাস। আর তারপরেই ওই ব্যাক্তির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার সাথে সাথেই তাকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর সেদিনই রাত নটার সময় সেই যুবকের মৃত্যু হয়। এদিকে এই ঘটনার পরেই মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়।

আর এই ঘটনার পরেই মৃতের আত্মীয় নিশিকান্ত দাস সুপারের কাছে একটি অভিযোগ জানান। যার ফলে হাসপাতালের সামনে রাজ্য সড়ক অবরোধের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ পুলিনবিহারী বাস্কে ঘটনাস্থলে আসেন। পরিস্থিতি সামলাতে এসডিপিও নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের দেহ দেখাতে হবে।

এদিকে এই প্রসঙ্গে মৃত যুবকের মা দুর্গা দাস বলেন, “আমার ছেলের টাইফয়েড ছিল। কিন্তু করোনা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে।”এদিকে মৃতের আত্মীয়-পরিজনরা যখন বিক্ষোভ এবং অবরোধ শুরু করেছেন, ঠিক তখনই হাসপাতাল থেকে স্কুটিতে চেপে বাইরে বের হচ্ছিলেন মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অর্নাশিস হোতা। অভিযোগ, তার স্কুটি আটকে মৃত যুবকের মা তাকে সপাটে চড় মারেন। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে মৃত ব্যক্তির মা এইভাবে চিকিৎসককে চড় মারার রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। এভাবে যদি চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ আসতে শুরু করে, তাহলে তাদের নিরাপত্তা কিভাবে সুরক্ষিত থাকবে? এদিন এই প্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, “চিকিৎসকের গায়ে হাত দেওয়া খুবই নিন্দনীয়। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

এদিকে গোটা ঘটনায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, “চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি‌। চিকিৎসককে মারার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুরো রিপোর্ট আমরা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেব‌। পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে করোনা হাসপাতাল মৃত যুবকের মা যেভাবে এক চিকিৎসকের গায়ে হাত তুললেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাসপাতাল চত্বর, তাতে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!