এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আক্রান্তকে পিটিয়ে মারল হাসপাতাল কর্মী! মোদীর আপন রাজ্যের বেদনাদায়ক ভিডিওতে তোলপাড় দেশ

করোনা আক্রান্তকে পিটিয়ে মারল হাসপাতাল কর্মী! মোদীর আপন রাজ্যের বেদনাদায়ক ভিডিওতে তোলপাড় দেশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে যে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা যাবে না বা যথেষ্ট যত্নসহকারেই যে তাঁর চিকিৎসা করতে হবে, একথা বলা হয়েছিল প্রথম থেকেই। কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া বা বাড়িতে, পাড়ায় বা এলাকায় ঢুকতে না দেওয়া, এমনকি তার সঙ্গে আর সঠিক ব্যবহার না করা এই সমস্ত কিছুই যে ঘৃণ্য অপরাধ, সে কথা কিন্তু আগেই জানিয়েছিল সরকার। এমনকি প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে যতবার সতর্ক বার্তা নিয়ে টিভির পর্দায় এসেছেন, তাঁর কণ্ঠেও সেই একই কথা শুনতে পাওয়া গেছে। তবে সম্প্রতি এমনই এক পাশবিক ঘটনার কথা জানা গেছে, যেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দেখা গেছে একজন করোনা রোগীকে মারধরের পরে তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে।

ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের রাজকোটের একটি সিভিল হাসপাতালে। তবে ঘটনার একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসতে চাঞ্চল্য ছড়ায় দেশজুড়ে। যেখানে দেখা যায় একটি অসুস্থ করোনা রোগীকে হাসপাতালের কিছু স্টাফ মারছে। জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে কিডনিতে জল জমার কারণে রাজকোটের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩৮ বছরের যুবক। প্রভাকর পাটিল নামের ওই যুবককে অপারেশন করার পর তার কিডনি থেকে জল বার করা সম্ভব হলেও তারপরে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এমন সময় তার করোনা পরীক্ষা করে দেখা যায় রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর গত ৮ই সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তাকে রাজকোট সিভিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। তবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে তখন সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে না আসলেও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় হাসপাতালেরই একজন হাতে লাঠি নিয়ে প্রভাকরকে মাটিতে ফেলে তার বুকের ওপর বসে আছে এবং অন্যান্য স্টাফরা ওই যুবককে মারধর করছে। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই মৃতের ভাই অভিযোগ জানায় যে এভাবেই তাহলে তার দাদার মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে তাদের আরও অভিযোগ যে প্রভাকর যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কেন তার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে এবং কোন প্রটোকল ছাড়াই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে কোন বাধা দেওয়া হয়নি? সুতরাং এক্ষেত্রে সরকারিভাবেই অন্যায় দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে এমন অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তি আসলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং কারো কথা না শুনে করোনা অবস্থাতেই তিনি চারদিকে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করলে, অন্যান্য রোগীদের করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেই তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে কোন রকম ভাবেই মারধোর করা হয়নি। তবে নিজের দাদার এহেন পরিস্থিতিতে মৃতের পরিবারের তরফে এমন পাশবিক ঘটনার যথাযথ সুবিচারেরই দাবি করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!