এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > আজ আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, জেনে নিন ভারতের সঙ্গে কতটা পার্থক্য সে দেশের ভোটের নিয়মের

আজ আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, জেনে নিন ভারতের সঙ্গে কতটা পার্থক্য সে দেশের ভোটের নিয়মের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আমেরিকায় বহুল চর্চিত প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন আজ। করোনা সংক্রমণের মধ্যেই এ বছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন শুরু হচ্ছে। শুরু হয়েছে আমেরিকার হোয়াইট হাউসে যাবার দৌড়। মার্কিনি নির্বাচন পদ্ধতি কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন। অন্যদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সখ্যতা থাকলেও দুই দেশের মধ্যে কিন্তু যথেষ্ট পার্থক্য ভোটের নিয়মের। আর সেই পার্থক্যই এবার তুলে ধরা হচ্ছে। মঙ্গলবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে সারা বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা রয়েছে চরমে। তবে মার্কিন দেশ ভারতের মতন গণতান্ত্রিক হলেও সে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভারতের যথেষ্ট ফারাক রয়েছে।

ভারতে যেমন নির্বাচন কমিশন ভোট করায়, সেরকম আমেরিকার ক্ষেত্রে কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা নেই। ফলে ভোট শুরু বা শেষ কখন হবে, তার সিদ্ধান্ত এক একটি রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী হয়। তবে সব থেকে তাড়াতাড়ি সকাল ছটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং সবথেকে দেরিতে হলেও রাত নটায় ভোট শেষ হয়। আমাদের দেশের মতন কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে ভোটগ্রহণ হয়না আমেরিকার। সেদেশে ‘আর্লি ভোটিং নাম দিয়ে ভোটগ্রহণ অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। করোনা আবহে সোমবার পর্যন্ত প্রায় 9.6 কোটি মার্কিন নাগরিক ইতিমধ্যেই ভোট দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের সাথে ভোট গণনার দিকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট ফারাক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

যেহেতু ভারতে নির্বাচন কমিশনের মতন আমেরিকায় কোন ফেডারেল সংস্থা নেই, তাই প্রত্যেকটি রাজ্য নিজেদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করে এবং ভোট গণনাও সেই রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী হয়। আমেরিকার 50 টি রাজ্যের বেশিরভাগই ভোটিং মেশিনের ব্যবহারের অনুমতি দিলেও দেখা যায়, অধিকাংশ ভোট গ্রহণ ব্যালট পেপারে হয়। এরপর সেই ব্যালট পেপারের হস্তাক্ষর মেলানো, নথি খতিয়ে দেখা এবং ব্যালটগুলিকে স্ক্যান করা ও অন্যান্য পর্ব চলতে থাকে। সব ঠিকঠাক থাকলে তবেই শুরু হয় ভোট গণনা। ভোট গণনার দিনও প্রতিটি রাজ্য নিজের মতন ঠিক করে। যেমন আমেরিকার অ্যারিজোনায় অক্টোবরের 7 তারিখ থেকে ডাকযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে নভেম্বর 3 তারিখ পর্যন্ত।

অন্যদিকে অক্টোবরের কুড়ি তারিখ থেকে অ্যারিজোনায় ভোট গণনা শুরু হয়ে গেছে, যা শেষ দিন পর্যন্ত চলবে। এভাবেই ওহাইও রাজ্যে অক্টোবরের 6 তারিখ থেকে গণনা শুরু হয়েছে। একইসাথে সেখানে অক্টোবরের 13 তারিখ পর্যন্ত ডাকযোগে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে চূড়ান্ত গণনা নভেম্বর 3 তারিখ হবে সেখানে। আমেরিকায় জনগণ সরাসরি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকেই ভোট দেয়। তাই সেক্ষেত্রে ভারতের মতন কোন দলের কেন্দ্রভিত্তিক ভোট হয় না। নভেম্বর 3 তারিখ ভোটদান শেষ হলেও সে ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ফল আসতে কয়েক দিন দেরি হবে। তবে ভোটের রাতেই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে মোটামুটি সব কটি রাজ্যেরই ফলাফল কিছুটা পরিষ্কার হয়ে যায় সমীক্ষার মাধ্যমে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মোট 538 টি ইলেক্টরাল কলেজের মধ্যে ম্যাজিক ফিগার 270 কোন প্রার্থী আগে ধরতে পারছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এবছর করোনার জন্য  মেল ইন ব্যালট জমা পড়েছে ব্যাপকভাবে এবং তাতেই কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। তাই গণনা শেষ হলেও মামলা আদালত পর্যন্ত যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। সে ক্ষেত্রে নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করতে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে। মূলত আদালতের নির্দেশের উপর ভিত্তি করে শুরু হবে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এর নাম ঘোষণা। এবার আসছে ভারত ও আমেরিকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কি তফাৎ? ভারতের নির্বাচনের ক্ষেত্রে লোকসভার কেন্দ্রগুলি আলাদা আলাদা হয়।

সেখানে যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবে কোন কেন্দ্রে সে সেই কেন্দ্রের বিজেতা হিসেবে ঘোষিত হবে। কিন্তু মার্কিন দেশের নিয়ম আলাদা। সেদেশে কিন্তু ভোটাররা যেহেতু সরাসরি ভোট দেয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে, তাই এক একটি রাজ্য একসঙ্গে হয় রিপাবলিকান দলের রং পায়, না হলে ডেমোক্র্যাট শিবিরের রঙে বর্ণিত হয়। লাল রিপাবলিকান দলের রং আর নীল ডেমোক্র্যাটিক শিবিরের। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেইন বা নেব্রাস্কা- এই দুটি রাজ্য কিছুটা ব্যতিক্রম। এই রাজ্যগুলিকে আবার ভাগ করা হয়েছে একাধিক ভাগে। এক একটি ভাগ নিজেদের মতো করে লাল, নীল হয়ে উঠতে পারে। সবমিলিয়ে রাজ্য ধরে ধরে চলে রঙের খেলা।

538 টি আসনের ইলেক্টোরাল কলেজে মার্কিন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জন্য নির্দিষ্ট আসন তাঁদের জনসংখ্যার ওপরই নির্ভরশীল। সেই বিচারে এক একটি রাজ্যের গুরুত্ব এক এক রকম। আমাদের এখানে যেমন সবথেকে বেশি লোকসভা আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে, সেরকম আমেরিকাতেও 55 টি ইলেক্টোরাল আসন রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়াতে। তবে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাথে ক্যালিফোর্নিয়ার পার্থক্য হল ক্যালিফোর্নিয়ায় কিন্তু 55 টি আসন একটি দল একসাথে সবকটিই পাবে।  অন্যদিকে আবার আলাস্কা কিংবা ডেলাওয়্যারের মতন রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট হচ্ছে তিনটি করে।

কোন রাজ্য কতটা কতটা লাল বা নীল হবে, তার ওপরই নির্ভর করবে হোয়াইট হাউসের ভবিষ্যৎ। তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ফারাক অনেকটাই এবং যথেষ্ট জটিলও মার্কিনী নির্বাচন। অন্যদিকে দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরবেন কিনা ডোনাল্ড ট্রাম্প তা নিয়ে কিন্তু জল্পনা চলছেই। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদি জো বিডেন প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করেন, তাহলে দেখার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কিরকম গড়ে ওঠে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!