এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > করোনায় ডিসাইডিং ফ্যাক্টর! ভোটারদের মন পেতে “সেবা” নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল তৃণমূল থেকে বাম

করোনায় ডিসাইডিং ফ্যাক্টর! ভোটারদের মন পেতে “সেবা” নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল তৃণমূল থেকে বাম


মানুষের দুর্দিনে নেতা-নেত্রী থেকে জনপ্রতিনিধিরা মানুষের পাশে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। সাধারণ মানুষ দুর্দিনের সময়ে পরখ করে নেন, তাদের পাশে থাকার প্রকৃত মানুষ কারা। আর তারপরেই ব্যালটবক্সে তার প্রতিফলন ঘটান জনতা জনার্দন। সেদিক থেকে বর্তমান সময়ে বাংলা অত্যন্ত ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দুর্যোগ। এই দুঃসময়ে অনেক মানুষ রুজিরুটি হারিয়ে ফেলেছেন।

তাই শাসক থেকে বিরোধী, প্রতিটি রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে, সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সহানুভূতি আদায় করার। তৃণমূল থেকে সিপিএম, কেউ কিচেন তৈরি করে প্রতিদিন মানুষকে খাবার দিচ্ছেন। আবার কেউ বা মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন সাহায্য।

সূত্রের খবর, রবিবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাধগোড়া অঞ্চলের খানাকুল গ্রামে সিপিএম এবং তার শাখা সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কিচেন চালু করা হয়েছে। যেখানে প্রায় 700 জন মানুষকে ভাত, তরকারি এবং ডিমের ঝোল বিলি করা হয়। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ঝাড়গ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম শহরে 13 নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপল্লিতে একটি স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত হয়। আর দুর্দিনে দুঃসময়ে কেউ মানুষকে খাবার দিয়ে, আবার কেউ বা মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ভবিষ্যতে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই শাসক-বিরোধী এই কার্যকলাপ শুরু করে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এখানে শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধীদল সিপিএমের পক্ষ থেকে মানুষকে সহযোগিতা করা হলেও, গোটা রাজ্যে অন্যচিত্র দেখা যাচ্ছে। সেদিক থেকে বিজেপির কোনো জনপ্রতিনিধিরা মানুষকে সহযোগিতা করতে গেলেই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। যেখানে বিজেপি’র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেস মিলে তাদেরকে মানুষের পাশে যেতে দিচ্ছে না।

ফলে শুধুমাত্র ঝাড়গ্রাম জেলায় তৃণমূল এবং সিপিএম নিজেদের নিজেদের মত করে মানুষকে সাহায্য করলেও, কেন রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় বিজেপিকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে শাসকদল এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের এই কর্মসূচি নিয়ে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বীরবাহা সোরেন বলেন, “অন্য দল কে কি করছে, সেটা বিষয় নয়। দায়িত্বশীল শাসক দল হিসেবে আমরা প্রতিদিনই নানা ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি এবং দলের শাখা সংগঠনগুলোকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে ভোট পরের বিষয়। এখন মানুষের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায সেটাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সন্তোষ রানা। সবমিলিয়ে শাসক থেকে বিরোধী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এখন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহানুভূতি আদায় করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!