এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েত ভোট থেকেই কি দলের ‘বিরুদ্ধে’ হাঁটবেন অধীর চৌধুরী?

পঞ্চায়েত ভোট থেকেই কি দলের ‘বিরুদ্ধে’ হাঁটবেন অধীর চৌধুরী?


কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত আটকাতে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর তুরুপের তাস হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত বিগত কয়েকটি মোলাকাতে সেই বার্তায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেসের সভাপতি ও সহসভাপতি। বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর জোটকে এক ছাতার তলায় আনতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সুসম্পর্ককেই বাজি রাখতে চান তাঁরা। আর তাই গত বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তীব্র তৃণমূল বিরোধিতায় গেলেও, এখন মমতা ব্যানার্জীর দলের সম্পর্কে অনেক নরম মনোভাব পোষন করে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ত্ব।
কিন্তু রাজ্যে যেকজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বঘোষিত বিরোধী আছেন অধীর চৌধুরী তার মধ্যে অন্যতম আর তাই তিনি কোনোমতেই তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে নারাজ। উল্টে তাঁর সাজানো গড় তছনছ করে দেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসকে উচিত শিক্ষা দিতে চান, আর তাই তার জন্য যা দরকার তাই করতে তিনি প্রস্তুত, এমনকি প্রয়োজনে দলীয় লাইনের বিরুদ্ধে হেঁটেও। যেহেতু গ্রামের ভোট, তাই হাইকম্যান্ডের তোয়াক্কা না করেই তিনি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিলেন সিপিএমের সঙ্গে নিচুতলা জোট গড়ে আসন্ন ভোটে লড়াই করার। গড় হারানোর পর তো কোনওভাবেই তিনি তৃণমূলকে রেয়াত করতে পারছেন না, তাই নিজের জেলায় পঞ্চায়েত সম্মেলন থেকেই তিনি বার্তা দিলেন মহাজোট গড়ে তৃণমূলকে রুখে দেওয়ার। তৃণমূলকে রুখতে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটে মরিয়া অধীরবাবুর দলীয় কর্মীদের নিদান, জোটের বিষয়টিতে স্বাধীনভাবে নিতে পারবেন পঞ্চায়েত স্তরের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা দলের ভালোর জন্য যেটা ভালো বুঝবেন, সেটা করবেন, রাজ্যের শীর্ষনেতৃত্বের তরফে কোনও বাধা দেওয়া হবে না। পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে পারেন নেতা-কর্মীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!