করোনা জুজুতে অবশেষে রাশ বাঙালির পুজো আবেগে! স্বস্তি দিয়ে ভার্চুয়ালেই দেবীদর্শন ঘরবন্দি জনতার কলকাতা রাজ্য October 24, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে এবার পুজো সেভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের শ্রেষ্ঠ উৎসবেও ভাটা পড়তে দেখা গেছে। যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রায়দান করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভার্চুয়ালের মাধ্যমে এই পূজা অনুষ্ঠিত হবে। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এই রায় দেওয়া হলেও, তাকে কতটা মান্যতা দেবে সাধারণ মানুষ! যেখানে গত মার্চ মাস থেকে গৃহবন্দি সকলে, সেখানে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব নিয়ে রায়কে উপেক্ষা করে সাধারন মানুষ রাস্তায় কিছুটা হলেও বেরিয়ে পড়বেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবং হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে সপ্তমীর বিকেলে কার্যত ফাঁকা মাঠে পরিণত হল কলকাতার রাজপথ। মহম্মদ আলী পার্ক থেকে শুরু করে মেডিকেল কলেজ, সমস্ত রাস্তা মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় কার্যত খাঁ খাঁ করতে দেখা গেল। পুলিশ কর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেও ঠিকমত মানুষজন না দেখে তারা আর কার্যত অবাক। আর মহাসপ্তমীর দিনে কলকাতার পুজোগুলো ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় একাংশ মনে করছেনড় মানুষ এখন তাদের স্বাস্থ্যের দিকে সবথেকে বেশি নজর দিতে শুরু করেছে। তাই হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে কার্যত গৃহবন্দী থাকতে দেখা গেল সাধারণ মানুষকে। এদিকে কলকাতায় হাইকোর্টের রায়ের জন্য পুজো প্রাঙ্গণে মানুষ বেশি না আসলেও, একই অবস্থা দেখা গেছে উত্তরবঙ্গের। তবে এখানে কিছুটা বাদ সেধেছে বৃষ্টি। মালদহ থেকে শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে কোচবিহার, মহাসপ্তমীর দিন থেকেই আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে। পরবর্তীতে সন্ধ্যের দিকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও, সেভাবে মানুষজনকে রাস্তায় বের হতে দেখা যায়নি। একইভাবে মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও সেভাবে ভিড় রাস্তায় চোখে পড়েনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ব্যারিকেডের বাইরে থেকেই কিছু অল্প সংখ্যক মানুষকে প্রতিমা দর্শন করতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই দুর্গোৎসবের মত বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবেও এইরকম ছবি চোখে পড়বে, তা সত্যিই কল্পনা করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু জনতা জনার্দন কার্যত প্রমাণ করে দিলেন, উৎসবের কটা দিন তারা নিজেদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষিত রাখতে এবং ভবিষ্যৎকে সুন্দর করে তুলতে কিছুটা হলেও সেই উৎসবের আনন্দ ত্যাগ করবেন । আর তাই রাস্তায় সেভাবে ঢল নামতে দেখা গেল না বলে মনে করছেন সকলে। তবে করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি বৃষ্টির জন্য মানুষ এভাবে রাস্তায় নামেনি বলে দায়ী করছেন একাংশ। কিন্তু কবে কমবে এই বৃষ্টি? তাহলে কি করোনাসুরকে বধ করার পাশাপাশি বৃষ্টিসুরকেও বধ করতে হবে! আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। ধীরে ধীরে দুর্যোগ কেটে যাবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের অবস্থা সংকটাপন্ন। সেখানে সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। মহাসপ্তমীর পর মহাষ্টমীও বৃষ্টি মাটি করে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে বৃষ্টির জন্য এবারের দুর্গাপুজো যে কার্যত ফ্লপ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শম্ভু, নিশুম্ভকে বধ করে দেবী দুর্গা যেমন মহামায়া হয়েছিলেন, ঠিক তেমনই করোনা সুর এবং বৃষ্টিসুরকে বধ করে মহামায়া কতটা জনতা জনার্দনকে আনন্দ দিতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -