এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা সবথেকে বেশি ক্ষতি করে দিচ্ছে শিশু শরীরে? নতুন গবেষণায় ভয়াবহ তথ্য সামনে এল! বাড়ছে আতঙ্ক

করোনা সবথেকে বেশি ক্ষতি করে দিচ্ছে শিশু শরীরে? নতুন গবেষণায় ভয়াবহ তথ্য সামনে এল! বাড়ছে আতঙ্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই একথা আগেই বলা হয়েছিল। তবে সেক্ষেত্রে কারণ হিসেবে শিশুদের শরীরে অ্যান্টিবডি-এর আধিক্যের কথা বলা হয়। তবে কয়েকমাস আগে সেই দাবিকে মিথ্যে প্রমাণ করে আমেরিকাতে শিশুদের মধ্যে শুরু হয় এক অদ্ভুত রোগ, আর যার কারণ খুঁজতে গিয়ে সামনে আসে করোনা ভাইরাসের কথা। দস্তুর মত কোনো উপসর্গ না থাকায় তাই কোনো ক্ষেত্রেই বোঝা যায়নি যে শিশুরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছিল। পরে অবশ্য সে বিষয়ে সামনে আসে চমকে দেওয়া তথ্য। এবার একটি মার্কিন গবেষণাতেও সেই একই কথা প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

টেক্সাসে সম্প্রতি ৬০০-রও বেশি কোভিড আক্রান্ত শিশুদের উপর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে দেখা গিয়েছে, কোভিডের কোনও উপসর্গ না থাকলেও শিশু সেরে ওঠার পর তার হার্টের সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে হার্টে একধরণের প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন দেখা যাচ্ছে। ফলে হার্টের রক্তনালি খানিকটা প্রসারিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে সামগ্রিকভাবে বাচ্চাদের হার্টের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। যার জেরে করোনা মুক্ত হয়েও বারবার হাসপাতালে ফিরে আসতে হচ্ছে অনেককেই। তবে কি এই প্রদাহ?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয়, মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম। সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেড়ে ওঠা এই অসুখটি সাধারণত এমআইএসসি নামে পরিচিত। এই রোগে হার্ট, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক, চোখ এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অঙ্গগুলি ফুলে ওঠে। ফলে শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। ডাক্তারি ভাষায় এই রোগটিকেই এমআইএসসি বলে। এক্ষেত্রে উপসর্গ হিসেবে জ্বর, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, ঘাড়ে ব্যথা, সারা গায়ে লালদাগ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ক্লান্তভাব প্রভৃতি লক্ষ্য করা যায়। এর সঙ্গে শ্বাস নিতে সমস্যা, বুকে চাপ ভাব লাগা বা কোন ব্যথা অনুভব করা, মুখের ভিতরের বা ঠোঁটের রং পাল্টে যাওয়া, পেটের সমস্যা প্রভৃতি দেখা যায়।

সাধারণত পাঁচ বছরের ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা হলেও পাঁচ বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের যেটা হচ্ছে তা একেবারেই নতুন বলে মনে করছেন অনেক চিকিৎসক। তাই এটিকে মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিন্ড্রোম অ্যাসোসিয়েটেড উইথ কোভিড বা এমআইএসসি অথবা পেডিয়াট্রিক মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমাটরি সিন্ড্রোম বা পিআইএমএস নামেও ডাকা হচ্ছে। তবে মনে করা হচ্ছে, ভাইরাসের সংক্রমণের পরেই এমন রোগ দেখা দিচ্ছে শিশুদের মধ্যে। তাই জ্বর হলেই দেরি না করে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ এমআইএস-সি আক্রান্ত শিশুকে ICU-তে রেখে চিকিৎসা করতে হয়। যেহেতু এক্ষেত্রে বাচ্চাদের হার্টের পেশিগুলি আক্রান্ত হয়ে ‘মায়োকার্ডাইটিস’ হয়। তাই দ্রুত চিকিৎসা না করালে হার্ট ফেলিওর হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। সুতরাং সতর্ক থাকুন এবং সুস্থ রাখুন আপনার সন্তানকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!