এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা এনে দিয়েছে মস্ত সুযোগ! জাল কেটে বেড়িয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী রাঘববোয়ালরা! হতাশা CBI-ED-তে

করোনা এনে দিয়েছে মস্ত সুযোগ! জাল কেটে বেড়িয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী রাঘববোয়ালরা! হতাশা CBI-ED-তে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অনেকদিন ধরে ঝুলছে সারদা এবং নারদা মামলা। বহু প্রভাবশালী এই মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন। কিন্তু তদন্ত সেভাবে না এগোনোয় নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে। কোনো প্রভাবশালী কে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিশ পাঠালেই পাল্টা তাঁদের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হচ্ছিল। আর করোনা আবহের মধ্যে সেই সমস্ত চিঠির সারাংশ জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হাজির করতে রীতিমত অক্ষম ছিল তদন্তকারী সংস্থা। ফলে গত তিন মাস ধরে সিবিআই এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেও, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টালবাহানার জেরে তা এখন তদন্ত বিশবাঁও জলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লকডাউনের কারণে প্রথম পর্বে সিবিআই অফিসাররা বাড়িতে থেকে এই ব্যাপারে কাজ করছিলেন। কিন্তু তদন্ত গতি হারিয়ে ফেলার আশঙ্কায় 15 দিন পর থেকে কোনো বিধি-নিষেধকে মান্যতা না দিয়ে সল্টলেকের সিজিও কম্প্লেক্সে তারা যাতায়াত শুরু করেন। প্রায় প্রতিনিয়ত এই ব্যাপারে তদন্তকারীদের সঙ্গে শীর্ষকর্তারা আলোচনা করতে শুরু করেন। কেননা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সময় মত তদন্ত করতেই হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে নানা সমস্যা সামনে এসেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “জরুরী ক্ষেত্রে ভিডিও বৈঠকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু প্রভাবশালীদের ক্ষেত্রে তদন্তে উঠে আসা তথ্য প্রমাণের বেড়াজালে বেঁধে ফেলে স্বীকার করাতে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। ভিডিও বৈঠকে তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় না। দিনের-পর-দিন জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেও জাল কেটে প্রভাবশালীদের বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই জন্য এক্ষেত্রে ভিডিও বৈঠকের জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। করোনা আবহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু করোনার কারণে জরুরি মাওলা ছাড়া আদালতে আর কোনো আবেদন করা যাচ্ছে না। যার ফলে তদন্তে ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। তদন্তকারী কর্তাদের একাংশের দাবি, এতদিনে প্রভাবশালীদের যদি ঠিকমত জেরা করা যেত, তাহলে অনেকেই গ্রেফতার হয়ে যেতেন। কিন্তু সমস্ত কিছু আটকে আছে করোনা ভাইরাসের কারণে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে তাদের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষ কর্তা।

অনেকে রসিকতা করে বলছেন, করোনা ভাইরাস রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন করে দিতে পারে, এমন ইস্যুকেও কার্যত স্তব্ধ করে দিল। সারদা এবং নারদার মতই ভয়াবহ ইস্যু নিয়ে যখন সকলে আশা আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন, সেখানে করোনা ভাইরাস হঠাৎ করে মাথাচাড়া দেওয়ায় তদন্তপ্রক্রিয়া সমস্ত রূপে থমকে গেল। এতে কিছু হেভিওয়েট প্রভাবশালীর স্বস্তি বজায় থাকলেও অনেকের মধ্যেই তদন্ত থমকে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। সব মিলিয়ে এখন পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় এবং কবে হেভিওয়েট প্রভাবশালীদের জেরা করতে শুরু করে তদন্তকারীরা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!