করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার কলকাতার প্রধান বাজারগুলি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কলকাতা রাজ্য April 29, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের 8 দফা বিধানসভা নির্বাচনের শেষ হলো আজ। কিন্তু এর মধ্যেই করোনা রক্তচক্ষু দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। রাজ্যজুড়ে প্রতিনিয়ত রেকর্ড তৈরি করছে করোনা সংক্রমণ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে এবার ব্যবস্থা গ্রহণ করল কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন। তবে সাময়িকভাবে এটি করোনার চেন ভাঙার একটা প্রচেষ্টা বলে তাঁরা জানিয়েছে। সূত্রের খবর, লকডাউন নয় বরং কলকাতার যে এলাকাগুলির বাজারে সব থেকে বেশি ভিড় হয়, চার দিনের জন্য সেই সমস্ত বাজার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত কলকাতার একাধিক এলাকায় সমস্ত বাজার বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে। প্রায় 25000 দোকান বন্ধ থাকতে চলেছে এই নিয়মের ফলে। বৃহস্পতিবার সংগঠনের তরফ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে, যেখানে চাঁদনি চক, প্রিন্সেপ স্ট্রিট, এজরা স্ট্রিট, ক্যানিং স্ট্রিট, ম্যাঙ্গো লেন ও বড়বাজারের একটা অংশ বন্ধ থাকার কথা বলা হয়েছে আগামী দোসরা মে পর্যন্ত। তবে এও জানা গিয়েছে, পোস্তা এবং অন্যান্য কিছু বাজার আগের মতোই খোলা থাকবে। সংগঠনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে চলেছে তা আটকাতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আগামী চার দিন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বাকি পণ্য কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবেনা। তবে ওষুধের দোকান বন্ধ থাকা নিয়ে কিন্তু শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কারণ, ক্যানিং স্ট্রিট যদি বন্ধ থাকে তাহলে কি কলকাতার সবচেয়ে বড় ওষুধের পাইকারি বাজার মেহেতা বিল্ডিং বন্ধ থাকবে কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই বাজারে অক্সিজেন, ওষুধের জোগান কম। যদি ওষুধের মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বড়োসড়ো বিপদে পড়বে সবাই। এই সংস্থার সচিব রাজেশ ভাটিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার চোখ রাঙানি থেকে বাঁচতে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের সুরক্ষার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। আর তাই এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। একইসাথে সমস্ত ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছেন তিনি। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন শেষ হাতিয়ার হিসেবে তুলে নিতে বলেছেন। তার আগে কনটেইনমেন্ট জোন বা অন্য কোনোভাবে করোনার সংক্রমণ যাতে আটকানো যায়, সেই চেষ্টা করতে বলেছেন সবাইকে। আর এবার সেই রাস্তাতেই সাময়িকভাবে করোনার চেন ব্রেক করার জন্য কলকাতা বেশিরভাগ বাজার আগামী চার দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাতে কতটা কি সুবিধা হবে, তা জানা যাবে আগামী দিনে। আপনার মতামত জানান -