এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ভাটপাড়ায় তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র – রাজনৈতিক পুনর্বাসন নাকি কফিনে শেষ পেরেক?

ভাটপাড়ায় তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র – রাজনৈতিক পুনর্বাসন নাকি কফিনে শেষ পেরেক?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – আগামী ১৯ ও ২০ ই মে রাজ্য-রাজনীতিতে বেশ উত্তেজনা থাকতে চলেছে। একদিকে লোকসভার শেষ দফার ভোটগ্রহণ হতে চলেছে বেশ কিছু হাই-ভোল্টেজ আসনে। পাশাপাশিই, লোকসভার আগে অন্য দল ছেড়ে বিভিন্ন লোকসভা আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজ্যের ছয় বিধায়ক পদত্যাগ করায় সেখানে হতে চলেছে উপনির্বাচন। আর এই ছয়টি আসনের মধ্যে সবথেকে বেশি আগ্রহ যে আসনটিকে ঘিরে – তা হল ভাটপাড়া।

কেননা মুকুল রায় দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর সমগ্র ব্যারাকপুর লোকসভার দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন এই ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংকেই। কিন্তু, একদা প্রিয় সেই অর্জুন সিং দলনেত্রীর উপর তীব্র ক্ষোভ দেখিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও ধরে রাখতে পারেননি অর্জুন সিংকে। আর বিজেপিতে গিয়েই, দায়িত্ব নিয়ে গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে তৃণমূলে তীব্র ভাঙন ধরানোর কাজটা অতি সুনিপুন ভাবে করছেন তিনি।

সেই ভাঙন এতটাই বড়সড় যে, গেরুয়া শিবির জোরালো ভাবে দাবি করছে – হালিশহর থেকে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত তৃণমূলের পতাকা ধরার কোনো লোক পর্যন্ত নেই নাকি। আর এখানেই শেষ নয়, আগামীদিনে নির্বাচনের আগেই একাধিক তৃণমূল বিধায়ক মুকুল রায়-অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে তীব্র জল্পনা। ফলে, ভাটপাড়া আসনটি যে এখন আর তৃণমূলের গড় নেই, তা যে অনেকটাই গেরুয়াময় হয়ে গেছে, প্রকারন্তরে মেনে নিচ্ছেন তৃণমূলের নীচুতলার কর্মীরাও। এই অঞ্চলে ভোটগ্রহণের পর, সেই ছবি নাকি আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এর বিরোধী মতও আছে – অনেকেই বলছেন ভাটপাড়া যদি অৰ্জুন সিংয়ের হাত ধরে গেরুয়াময়ই হয়ে যাবে, তাহলে অর্জুন সিং ভাটপাড়া পুরসভাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমান করতে পারলেন না কেন? জবাবে, এই মুহূর্তে কিছু বলতে চান না অর্জুন-অনুগামীরা। তবে, তাঁদের মুখে ইঙ্গিতে এই প্রসঙ্গে ‘মন্দারমণি’ আর ‘রাজ্য-পুলিশ’ – এই শব্দ দুটি প্রবলভাবে ঘুরছে। এখনই এই নিয়ে কিছু প্রকাশ্যে বলতে মানা আছে অর্জুন সিংয়ের, তবে লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেই – এই দুই শব্দের বিশদ ছবি সবার সামনে তুলে ধরবেন তিনি বলে সূত্রের খবর।

এই অবস্থায়, মদন মিত্রকে ভাটপাড়ায় ঠেলে দেওয়া মানে – তা রীতিমত কিন্তু চ্যালেঞ্জিং। এমনিতেই, মন্ত্রী হওয়ার পর জেলে যেতে হয়েছিল তাঁকে – তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীত্ব কেড়ে নেন নি। এমন কি জেলে থাকা অবস্থায় বিধানসভার টিকিটও দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে হেরে যাওয়ার পর দলে কার্যত ব্রাত্য হয়ে যান। দলীয় প্রচার থেকে কোনো কর্মসূচিতেই তাঁকে ডাকা হয় না, বাড়ির পাশে নোয়াপাড়া উপনির্বাচনের পর তো তিনি মন্তব্য করেই ফেলেন – ‘তৃণমূলে এখন আমি লাস্ট বয়’!

তারপর মুকুল রায় দল ছাড়ার পর, আবারো বাড়তে থাকে তাঁর গুরুত্ব – শোনা যায়, রায়গঞ্জে দলীয় প্রার্থী হতে পারেন তিনি। কিন্তু, সেখানেও তিনি ব্রাত্য থেকে যান – আর এরপরে হঠাৎ করে ভাটপাড়ার কঠিন লড়াইয়ে তাঁকে ঠেলে দেওয়া হল। যদি, এত প্রতিকূল পরিস্থিতেও তিনি বাজিমাত করতে পারেন – তাহলে বোধহয় সত্যিই রাজনৈতিক পুনর্বাসন পেয়ে গেলেন। কিন্তু, কামারহাটির পর এবার ভাটপাড়াতেও হেরে গেলে – এটা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ‘কফিনে শেষ পেরেক’ হয়ে যাবে নাতো? জল্পনা কিন্তু ক্রমশ বাড়ছে – আর উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৩ শে মে পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!