ডাক্তার হেনস্তার ঘটনায় দলীয় নেত্রীর নাম জড়াতেই বিভাগীয় তদন্তের পথে তৃণমূল সাংসদ রাজ্য November 23, 2018 সম্প্রতি অন কলে আসতে সামান্য দেরি করায় রোগীর পরিবার পরিজনের দ্বারা প্রবল আক্রান্ত হন হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ফায়েজা নাসরিন। এমনকি রোগীর পরিবার পরিজনই শুধু নয়, এই চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ে হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী মৌসুমী রায়েরও। আর যানিয়ে জেলায় তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে আক্রান্ত সেই চিকিৎসক নিজের ইস্তফাপত্রও জমা দেন। এদিকে দুই জন ডাক্তারের মধ্যে একজন পদত্যাগ করায় রোগী পরিষেবা ঠিক কতটা অটুট থাকবে তা নিয়ে এখন প্রবল আশঙ্কায় হরিরামপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে এবার এই চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় দলের নেত্রী তথা হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিযুক্ত মৌসুমী রায়ের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিলেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। সূত্রের খবর, গত কাল তিনি এই ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর জন্য অনুরোধ করেন। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, “আমি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এব্যাপারে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছি। যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে বলেছি।” অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী রায় সেই চিকিৎসককে কোনোরূপ হেনস্থা করেননি বলে সেই অভিযুক্তের পাশেই দাঁড়িয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্র। এদিকে সাংসদের নির্দেশে এদিন দুপুরেই এই হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) অশোক বিশ্বাস। পাশাপাশি আক্রান্ত চিকিৎসককে তার ইস্তফা পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারেও অনুরোধ করলে সেই ফায়েজা নাসরিনকে এদিন হাসপাতাল চত্বরেই দেখা যায়নি। তবে গোটা ঘটনায় তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার পরই এই ব্যাপারে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে একটি রিপোর্ট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন সেই অভিযুক্ত হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী রায়। সব মিলিয়ে একদিকে শাসক দলের সাংসদ যখন দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন, ঠিক তখনই জেলা তৃণমূল সভাপতি সেই অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে ক্লিনচিট দেওয়ায় হরিরামপুর গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনায় তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। আপনার মতামত জানান -