এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জমায়েত ঘিরে রাজ্যে ব্যাপক হারে করোনা ছড়িয়ে পড়ার বড়সড় আশঙ্কা ! আতঙ্ক সর্বত্র

জমায়েত ঘিরে রাজ্যে ব্যাপক হারে করোনা ছড়িয়ে পড়ার বড়সড় আশঙ্কা ! আতঙ্ক সর্বত্র

করোনা ভাইরাসকে আটকাতে একমাত্র উপায় লকডাউন। বর্তমানে গোটা দেশ সেই লকডাউনের মধ্যে রয়েছে। আশা করা হয়েছিল, এই লকডাউনের ফলে ভারতবর্ষ থেকে করোনা বিদায় নেবে। কিন্তু বিদায় দেওয়া তো দূর অস্ত, উল্টে কিছুদিন আগেই দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ সেই করোনাকে নতুন করে স্বাগত জানিয়েছে। আর নিজামুদ্দিনের এই সমাবেশের পর আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করা যায়। দিনকে দিন করোণা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তবে দিল্লির এই ঘটনার পর তেমন ভাবে কোনো জমায়েত হবে না বলেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার হয়তো চিন্তা বাড়তে শুরু করল বাংলার ক্ষেত্রে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার গোপিপুরের মসজিদে কয়েক হাজার লোকের জমায়েত লক্ষ্য করা গেল। সামাজিক দূরত্বের বিধি-নিষেধকে কার্যত উপেক্ষা করে, একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে সেই মসজিদে উপস্থিত হতে দেখা যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে। আর দিল্লির ঘটনা থেকে বিন্দুমাত্র শিক্ষা না নিয়ে, মুর্শিদাবাদের মসজিদে এই ধরনের সমাবেশ এখন নিঃসন্দেহে চিন্তা বেড়াচ্ছে বাংলার প্রশাসনের অন্দরে। কিন্তু কিছুটা হলেও স্বস্তির ব্যাপার, এদিন এই মসজিদে বিশাল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ।

জানা গেছে, কান্দির এসডিপিও কুমার সানি রাজের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে মসজিদের ইমামকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এই ধরনের ঘটনা আবার ঘটে, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু যে ঘটনা একবার ঘটে গেল, সেই ঘটনার পরে হুঁশিয়ারি দিয়ে আদৌ কি কোনো লাভ হবে? কেননা যদি কারও শরীরে করোনা আক্রান্ত থাকে এবং তার ফলে যদি অন্যান্যদের মধ্যে এই জমায়েতের ফলে সেই করোনা ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তো বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিল্লির নিজামুদ্দিনের পরেও কিছু মানুষ যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেবে না, তা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মুর্শিদাবাদের মসজিদে যাওয়াতেই প্রমাণিত হয়ে। এক্ষেত্রে কবির কবিতাকে কোট করে অনেকেই বলছেন যে, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন, “ধর্ম যখন বিজ্ঞানকে বলে রাস্তা ছেড়ে দাও, বিজ্ঞান কি তখন রাস্তা ছেড়ে দেয়!” কবি হয়ত বা বলতে চেয়েছিলেন, বিজ্ঞান শ্রেষ্ঠ, ধর্ম নয়। কিন্তু বর্তমানে করোনা থেকে মুক্তির উপায়ের পথ খুঁজছেন যখন সকলে, তখন যেন সেই ধর্মের কাছেই হেরে যাচ্ছে বিজ্ঞান। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই মত বিশ্লেষকদের। বারবার সচেতন, সতর্ক করা সত্ত্বেও দিল্লির ঘটনার পর বাংলায় এই সমাবেশ এখন কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!