এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালে খরচ ৬ দিনে ২.৫ লাখ, ১ মাসে ১৬ লাখ! সামনে এল বড়সড় তথ্য!

করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালে খরচ ৬ দিনে ২.৫ লাখ, ১ মাসে ১৬ লাখ! সামনে এল বড়সড় তথ্য!


করোনার মত ভয়াবহ মারণ রোগকে আটকাতে সকলেই চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্রতী হয়ে রয়েছেন। কিন্তু এই করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে কতটা আর্থিক ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে? যে তথ্য সামনে এসেছে, তা দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যাবে। তথ্য বলছে, করোনা আক্রান্তের 15% রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

আর যত শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তার মধ্যে 2.25 শতাংশকে আইসিইউতে, 1.91 শতাংশ অক্সিজেন এবং 0.0004 শতাংশ রোগীকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দিতে হয়েছে। আর এই সরঞ্জাম দিয়ে রোগীকে সুস্থ করার ক্ষেত্রে গত ছয় দিনে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ হয়েছে প্রায় 2 লক্ষ 60 হাজার টাকা। সেদিক থেকে যদি এক মাসের বেশি সময় ধরে এই চিকিৎসা চলতে থাকে, তাহলে তা 16 লক্ষ টাকার বেশি দাঁড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যেখানে সামান্য চিকিৎসা হচ্ছে, সেখানে এত খরচ কেন? বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা চালানোর পর দেখা গেছে, ওষুধ এবং পিপিইর মধ্যেই সমস্ত খরচ লুকিয়ে রয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই তা অবশ্য স্পষ্ট হয়ে যাবে। জানা গেছে, দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক যুবক আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন। ওষুধ সহ প্রতিদিন তার খরচ 1,342 টাকা। কিন্তু সেই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন 60 বছরের বেশি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি।

যার কো মর্বিডিটি রয়েছে। আর ওষুধের জন্য তার প্রতিদিন খরচ হত 13,000 টাকা। যখন সেই ব্যক্তিকে ছুটি দেওয়া হয়, তখন তার মোট খরচের সংখ্যা দেখা যায় 40,548 টাকা। অর্থ্যাৎ কো-মর্বি ডিটি থাকলে যে খরচের পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে, তা কার্যত স্পষ্ট। কিন্তু পিপিই কিটের ক্ষেত্রে এত খরচ কেন? জানা গেছে, একটি রোগীর পেছনে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচটি পিপিই লাগে। যেখানে প্রতিটির দাম 700 থেকে 1,100 টাকা।

তবে একাংশের অভিযোগ, এই পিপিই কিটের বিলের ক্ষেত্রে কমবেশি করে অনেক সময় দেখানো হচ্ছে। যার ফলে খরচের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে কিছু ক্ষেত্রে কারচুপি এবং কিছু ক্ষেত্রে বাস্তব থাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার খরচ হু হু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বত্র গুঞ্জন সৃষ্টি হচ্ছে। এখন এই বিলাসবহুল খরচ মেটাতে রোগীরা এবং তাদের পরিবারেরা কতটা সক্ষম, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!