অবশেষে বের হলো বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন, জেনে নিন বিস্তারিত! অন্যান্য আন্তর্জাতিক কলকাতা August 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার আক্রমণে পর্যুদস্ত সারা বিশ্ববাসী যখন করোনার ভ্যাকসিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে বসে আছেন ঠিক সেই প্রেক্ষাপটেই করোনার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সোভিয়েত রাশিয়ার। বিশ্বের সর্বপ্রথম এদেশেই করোনার ভ্যাকসিনের উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে জল্পনা চলছে করা হচ্ছে। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর দেশে তৈরি প্রথম নথিভুক্তিকরণ করালেন।যা এই সময়ের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী একটি ঘটনা। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন সমস্ত দিক থেকে সফল এবং মানবদেহে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম রাশিয়ায় উৎপাদিত করোনার এই বিশেষ ভ্যাকসিনটি। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আরও জানিয়েছেন যে, যথেষ্ট বার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে মানবদেহে । সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের দুই মেয়ের মধ্যে একজনের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তার ইতিবাচক ফল মিলেছে । আবার, রুশ প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে প্রথমে সে দেশের স্বাস্থ্যকর্মী শিক্ষক ও করোনা সংক্রমিত হওয়ার অধিক আশঙ্কা রয়েছে এমন ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের প্রথমে করোনা টিকা দেয়া হবে । তারপর সেই টিকা সাধারণ মানুষের জন্য সরবরাহ করা হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত গত ১৭ ই জুন ৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে এই ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে এখনো পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের উপরে সমস্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি । এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষার তিনটি ধাপ আছে যা এখনো চলছে বলে সংবাদসূত্রে জানা গেছে।অন্যদিকে আবার মানবদেহে করোনা রোগ প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিনটি কতটা সক্ষম হবে, কিংবা এর কার্যকারিতা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। কারণ ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত পরীক্ষা গুলিই এখনো সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া এর সুরক্ষা বা কার্যকারিতার ক্ষেত্রেও এখনো চূড়ান্ত ছাড়পত্র মেলেনি। তাই তড়িঘড়ি এর ঘোষণা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তও সন্দেহের উর্ধে নয়। প্রসঙ্গত রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট এ এখন এই ভ্যাকসিনটির গবেষণার কাজ চলছে। গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যালেক্সেন্ডার গিন্টসবার্গ এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, অ্যাডিনো ভাইরাস এর ভিত্তিতে মানবদেহে নির্জীবকনা তৈরী করবে এই ভ্যাকসিনটি। তিনি আরো জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন টি মানুষের পক্ষে কোনভাবেই ক্ষতিকর হবেনা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিনটি নেবার পর জ্বর আসার সম্ভাবনা আছে। তবে এতে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। কারণ, দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এরকম কিছু সাইড এফেক্ট হয়েই থাকে। প্যারাসিটামল টাইপের কোন ওষুধ খেলেই এই জ্বর সেরে যাবে বলে তাঁর দাবি। অন্যদিকে পৃথিবীজোড়া মানুষের বিপুল চাহিদার কথা চিন্তা করেই রা সরকার চলতি বছরেই প্রায় সাড়ে ৪ কোটি ভ্যাকসিন লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। আপনার মতামত জানান -