এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে বড় ধাক্কা? অক্সফোর্ড টীকা পরীক্ষার স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুতে প্রশ্ন

করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে বড় ধাক্কা? অক্সফোর্ড টীকা পরীক্ষার স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুতে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা তার মৃত্যু মিছিল চালিয়ে চলেছে সারা বিশ্বে। এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি করোনার ভ্যাকসিন। তবে বিশ্ব ইতিমধ্যেই অনেকগুলো ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী রয়েছে। তার মধ্যে থেকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশাবাদী রয়েছেন চিকিৎসক গবেষকরা।

তাদের মতে ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া এই ভ্যাকসিন বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ট্রায়াল পর্ব যে খুব একটা সুষ্ঠুভাবে চলেছে তা বলা যায় না। তার কারণ এর আগে একবার ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করা এক সেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার কারণে সেইসময় ট্রায়াল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

সেই সময় বলা হয়েছিল, এটি নাকি ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের নিয়ম। ফলত ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত আলাদা করে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাতে পারবেনা কেউ। সেইসঙ্গে কিছুদিন পরে সুখবর দিয়ে বলা হয়েছিল, আবারো ট্রায়ালের ছাড়পত্র পেয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। সেইসঙ্গে জোরকদমেই চলছিল ট্রায়াল।

তবে সম্ভবত আবার ধাক্কা খেয়েছে সেই ট্রায়াল। কারণ এই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হিসেবে সামনে এসেছে ভ্যাকসিনের নাম। তথ্য সূত্রে জানা গেছে যে সমস্ত মানুষদের ওপর এই ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল চলছিল, সেই সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা শুনে আপনি যদি ভাবেন তাহলে আবারও ট্রায়াল বন্ধ হয়ে গেল, তবে এখনও আপনার জানার কিছু বাকি আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এক্ষেত্রে চমকের বিষয় হচ্ছে ব্রাজিলের এই স্বাস্থ্য সংস্থা ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যুর কথা জানালেও, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যে বন্ধ করা হবে না, সেটা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে। তবে পরীক্ষা চলাকালীন মৃত স্বেচ্ছাসেবককে আদৌ কোভ্যাকসিনের আসল টিকা দেওয়া হচ্ছিল কি না সে বিষয়ে ঠিক করে জানানো হয়নি। বস্তুত, স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা আলাদা শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রেখে তাদেরকে স্বাধীনভাবে রাখা হয়।

তবে এক্ষেত্রে এই স্বেচ্ছাসেবকের শরীরের ব্যাপারে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। অন্যদিকে এই স্বেচ্ছাসেবকের ব্যক্তিগত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলেও জানা যায়। তাই যাদের উপর করোনার এই টিকা পরীক্ষা করা হচ্ছিল, মৃত ব্যক্তি যদি ওই গোষ্ঠীর অংশ সত্যি সত্যি হতো, তাহলে ট্রায়াল নিশ্চয়ই স্থগিত রাখা হত।

কিন্তু যেহেতু তা করা হয়নি, তাই এটা সন্দেহ করা হচ্ছে যে মৃত ব্যক্তির শরীরে হয়ত আসল করোনা টিকা প্রয়োগ করা হয়নি। তবে সে ক্ষেত্রে এখনও সংস্থার তরফে কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি বলেও জানা যায়। তাই আপাতত করোনার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই বলেই জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!